শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
গোদাগাড়ীতে হত্যাকান্ড, সেই পাঁচ পুলিশের ব্যাপারে তদন্তে পিবিআই

গোদাগাড়ীতে হত্যাকান্ড, সেই পাঁচ পুলিশের ব্যাপারে তদন্তে পিবিআই

গোদাগাড়ীতে হত্যাকান্ড, সেই পাঁচ পুলিশের ব্যাপারে তদন্তে পিবিআই
গোদাগাড়ীতে হত্যাকান্ড, সেই পাঁচ পুলিশের ব্যাপারে তদন্তে পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৩২) হত্যাকান্ডে সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশের পাঁচজন সদস্যের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে। রাজশাহী জেলা পুলিশও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি আলাদা করে তদন্ত করে দেখছে।

খুনের অভিযোগ ওঠা পাঁচজন হলেন- পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, আবদুল মান্নান ও রেজাউল ইসলাম এবং কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন ও শফিকুল ইসলাম। গত মার্চে নিহত রফিকুল খুনের সময় তারা প্রত্যেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন।

নিহত রফিকুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পোলাডাঙ্গা গাইনাপাড়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি একজন মাদক বহনকারী ছিলেন। ২২ মার্চ সকালে গোদাগাড়ীর মাটিকাটা দেওয়ানপাড়া এলাকার পদ্মার চর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে তখন প্রচার চালানো হয়। এ ঘটনায় সেদিনই থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।

হত্যা মামলা দায়েরের এক মাসের মধ্যেই পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তভার গ্রহণ করে। বর্তমানে রাজশাহী পিবিআইয়ের এসআই জামাল উদ্দিন মামলাটির তদন্ত করছেন। গত ২৯ অক্টোবর তিনি এ মামলায় ইসাহাক আলী ইসা (২৮), ফরিদুল ইসলাম (২৫) এবং মাহাবুর আলী (৩১) নামে গোদাগাড়ীর তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। পরদিন ইসা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

ইসা তার জবানবন্দীতে বলেছেন, তার ৫০০ গ্রামের একটি হেরোইনের চালান নিয়ে আসছিলেন রফিকুল ও শরিফুল। কিন্তু তিনিই দুই লাখ টাকার বিনিময়ে চালানটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে চুক্তি করেন। পরে রফিকুল ও জামাল যখন তার হেরোইন নিয়ে আসছিলেন তখন ইসা এসআই মিজানুর, আবদুল মান্নান, রেজাউল ইসলাম এবং কনস্টেবল শফিকুল ও শাহাদাতকে নিয়ে মাটিকাটা দেওয়ানপাড়া সিঁড়িঘাট এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারধরের একপর্যায়ে রফিকুল মারা যান। আর রফিকুলের সঙ্গে থাকা জামালকে ধরে এনে ১০০ গ্রাম হেরোইনের মামলা দেয়া হয়। অবশিষ্ট ৪০০ গ্রাম হেরোইন পুলিশ আত্মসাত করে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১০ নভেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply