অনলাইন ডেস্ক : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিক্ষুকের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর শারীরিক মেলামেশা। শারীরিক দৈহিক মিলনের এক পর্যায়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন (১৮) বছরের ওই কিশোরী। স্বামীর স্বীকৃতি চাইতে গেলে অস্বীকার করেন প্রেমিক স্বপন (২৭)।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে। স্বপন ওই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। এদিকে ওই ঘটনাটিকে আড়াল করতে একটি পক্ষ তড়িঘড়ি করে বসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে। পরে সেখানে লোক সমাগম বেড়ে গেলে সেই রাতে দফারফার জন্য বসা হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে। পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে স্বপনকে বাঁচাতে ওই কিশোরীর পেটের বাঁচ্চা নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সাথে স্বপনের কাছ থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই বৈঠকে ৭০ হাজার টাকা চেয়ারম্যানের হেফাজতে তুলে দেওয়া হয় স্বপনের পক্ষ থেকে।
এরপর কিশোরীর বাচ্চা নষ্টের জন্য তার মামা আনসার আলীর হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। পরে ওই টাকা ও কিশোরীকে নিয়ে স্বপন, মামুন, আনছার ও তসলিমা বেগম পুঠিয়া উপজেলার একটি পাইভেট ক্লিনিকে যায়। পরে সেখানে ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপুর্বক তার বাচ্চাটিকে নষ্ট করা হয়। বর্তমানে ওই কিশোরীর অবস্থা অনেকটা আশষ্কাজনক বলে জানা গেছে। ওই কিশোরী ও তার মাকে বর্তমানে আত্মগোপন করে রেখেছে একটি পক্ষ।
ওই কিশোরী স্বপনের বিচার দাবি করে জানান, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা করেছে। আমার পেটের সন্তানের স্বীকৃতির জন্য তাকে বলা হয়ে ছিলো। সে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি স্ত্রীর স্বাকৃতি চাই। তানা হলে তার কঠিন বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান,স্বপনকে বাঁচাতে একটি পক্ষ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ওই ভিক্ষুক পরিবারের বাবা হারানো কিশোরীর কথা কেউ চিন্তাই করছে না। বখাটে স্বপন এর আগেও একই গ্রামে ফেলা পাগল নামের এক ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে অবৈধ মিলনের সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করেছিলো। বর্তমানে স্বপনের পরিবারের ভয়ে ভিক্ষুকের পরিবার দিশে হারা হয়ে পড়েছেন। তাদের দাবি স্বপনের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এ বিষয়ে অত্র মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফারুক ইমাম সুমন বলেন, একটি পক্ষ সমাধান চেয়ে আমার কাছে তারা এসেছিলো। আমি তাদের থানা পুলিশের আশ্রয়ের পরামর্শ দিয়েছি। এরপর আর আমি কিছুই জানি না। এছাড়াও আমার পরিষদ বা বাড়িতে কোন প্রকার মিমাংসার বৈঠক হয়নি। এমনকি টাকা লেন-দেন সম্পর্কেও আমার জানা নেই। এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার (ওসি) খুরশিদা বানু কনার কাছে জনতে চাইলে তিনি জানান, এবিষয়ে আমার জানা নেই। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা অবশ্যই ক্ষতিয়ে দেখা হবে। সেই সাথে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সিল্ক সিটি
মতিহার বার্তা ডট কম: ১০ নভেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.