তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে আগাম রবিশস্য শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তানোর উপজেলার কৃষকরা৷ তানোর উপজেলার পরিত্যক্ত উচু জমিতে শীতকালীন সবজি হিসেবে পটল, বেগুন,ফুলকফি, বাধাকফি, পাতাকপি, টমেটো, মুলা, পালং শাক,লাল শাক, সিম,শশা সহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হচ্ছে৷ এবং এই সবজি জেলা- উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার বড় ছোট পাইকাররা এসে সরাসরি জমির ক্ষেত থেকে সবজি কিনে ট্রাক ভুটভুটি যোগে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে।
তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায়,শীত কালীন বিভিন্ন সবজির সমারোহ। প্রতিনিয়ত চাষিরা তাঁদের ঘাম ঝরানো সবজির ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন । বর্তমান বাজারে সবজির মূল্য চড়া হলেও কমতি নেই কেনা-বেচা। জানা গেছে, বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে ১৮শ’থেকে২হাজার টাকা মন,মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪থেকে৫হাজার টাকা,টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়।
কচিয়া মোহনপুর গ্রামের সবজি চাষি রইচ উদ্দিন টিপু তার ৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন সাদা জাপানি জাতের মুলা,পটল,পাতাকপি,ফুলকপি, টমেটো, বেগুন ও কাঁচা মরিচ। রইচ উদ্দিন টিপু তার অনাবাদি পড়ে থাকা পরিত্যক্ত উচু জমির উপর ৪/৫ বছর ধরে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করে আসছেন। এতে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রইচ উদ্দিন টিপু সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
অন্যদিকে রইচ উদ্দিন টিপুর পাশাপাশি একই গ্রামের আব্দুল মালেক তার ১বিঘা উচু জমির উপর পটল চাষ করেছেন। সেলিম ১বিঘা বেগুন, নাইমুল ১বিঘা বেগুন, আকবর আলী ২বিঘা মুলা,পটল বেগুন ৩বিঘা, এরশাদ আলী পটল ২বিঘা ও বেগুন ১০কাঠা জমিতে চাষ করেছেন। রইচ উদ্দিন টিপু বলেন, আমি ৫/৬ বছর ধরে আমার পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক সবজি চাষ করে আসছি। এবার পটল চাষের পাশাপাশি বেগুন বিদেশি জাতের জাপানি মুলা,টমেটো পাতাকপি, ফুলকপি চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে এবং চড়া মূল্য বিক্রি হচ্ছে। লাভের সম্ভাবনা শতভাগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০২ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.