শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীর সীমান্তে চোরাচালান ধরা পড়ে মামলাও হয়, পাওয়া যায়না আসামি!

রাজশাহীর সীমান্তে চোরাচালান ধরা পড়ে মামলাও হয়, পাওয়া যায়না আসামি!

রাজশাহীর সীমান্তে চোরাচালান ধরা পড়ে মামলাও হয়, পাওয়া যায়না আসামি!
রাজশাহীর সীমান্তে চোরাচালান ধরা পড়ে মামলাও হয়, পাওয়া যায়না আসামি!

নিজস্ব প্রতিবেদক : টহল এবং অভিযানের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পণ্য চোরাচালানের সময় স্বর্ণ, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সময় ধরা পড়ে না চোরাকারবারীরা।

বাংলাদেশের যে কয়টি সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে একটি রাজশাহীর চর খানপুর। চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) ভারত থেকে এই অঞ্চল দিয়ে পাচার হওয়ার সময় ৬ লাখ ২৯ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের অবৈধ পণ্য ধরেছে বিজিবি। এসব ঘটনায় করা হয়েছে ১৪টি মামলা। তবে একটিতেও আসামি পাওয়া যায়নি।

বিজিবর তথ্য অনুযায়ী, শুধু এপ্রিল মাসে সীমান্তে কোনো অবৈধ পণ্য জব্দের ঘটনা ঘটেনি। তবে মে মাসে সব থেকে বেশি চোরাচালানের পণ্য আটক করে খানপুর বিজিবি। মাসটিতে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়। এর পরের মাস থেকে অবৈধ পণ্য ধরা পড়ার পরিমাণ কমে আসে। সর্বশেষ নভেম্বর মাসে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪১০ টাকার পণ্য আটক করে বিজিবি।

এর আগে বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৩৭ হাজার ৬১০ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং মার্চে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। অন্যদিকে জুনে ৫ হাজার ২৬০ টাকা, জুলাইতে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা, আগস্টে ৫২ হাজার ১০ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৫৭ হাজার ৯০০ টাকা এবং অক্টোবরে ৫১ হাজার টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
এসব চোরাচালানের অবৈধ পণ্য জব্দের ঘটনায় জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, মে, জুন, জুলাই, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে একটি করে মামলা হয়েছে। তবে আগস্টে মামলা হয়েছে দুটি এবং নভেম্বরে হয়েছে চারটি। প্রতিটি মামলাই হয়েছে আসামি ছাড়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খানপুর বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মানিক দেবনাথ বলেন, আমরা মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ পণ্য আটক করেছি। এর মধ্যে বেশিরভাগ ফেনসিডিল। সীমান্ত ঘেঁষা নদী পথ হওয়ায় আসামি ধরা সম্ভব হয় না। কারণ, চোরাকারবারিরা মালামাল ফেলে নদীতে নেমে ভারতের সীমায় ঢুকে পড়ে।

সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, এখন অভিনভ পন্থায় মাদক চোরাচালান হচ্ছে। কিছুদিন আগে টেকনাফ থেকে একজন নারী তার শরীরের সংবেদনশীল স্থানে করে ইয়াবা নিয়ে আসছিল। বিজিবিতে যেহেতু নারী সৈনিক আছে, তারা চেক করে ওটা ধরতে পেরেছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক চোরাকারবারিরা নিত্য নতুন পন্থা উদ্ভাবন করছে। বার্মিজ স্যান্ডেলে করে ইয়াবা নিয়ে আসছে, আমরা ওটাও ধরছি। আমাদের প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করছি এটা ধরার জন্য। আমরা কিছুদিন আগে খবর পেলাম গরুর পেটে করে মাদক পাচার হচ্ছে। কিন্তু সব গরুর পেট কেটে তো মাদক পরীক্ষা সম্ভব না। এরপরও আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

মতিহার বার্তা ডট কম: ২০ ডিসেম্বর ২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply