অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কারণে আটকে থাকা তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, তিস্তার জলবণ্টন অচিরেই হতে পারে। বুধবার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য যান ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দেরাইস্বামী।
তাঁকে সাদরে আপ্যায়ণ করেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। ভারতীয় হাইকমিশনারের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী বলেন ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বণ্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তিস্তার পানি বণ্টন অচিরেই হতে পারে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও ভারতের নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত।
দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় সমাধান দুই দেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে আরও সুদৃঢ় করেছে।’ তিস্তা জলবণ্টন নিয়ে নয়াদিল্লি ও ঢাকা বারবার বৈঠক করেছে। তবে দিল্লিতে সর্বশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুখা মরশুমে তিস্তার জল দেওয়া সম্ভব না। এর পরেই ভেস্তে যায় বৈঠক। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিস্তার বদলে অন্য নদীর জল নিতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের সিকিম থেকে বেরিয়ে তিস্তা নদী পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই আন্তর্জাতিক নদী পথের জলবণ্টন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দুটি দেশ আলোচনা চালাচ্ছে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.