অনলাইন ডেস্ক: একুশের লড়াই জমজমাট। বিধানসভা ভোটের মুখে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বুধবার রামলীলা পার্কের সভা থেকে বিজেপিকে তুলোধনা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। ‘রামের দেশে আজ রাবণদের তাণ্ডব চলছে, ধর্মের নামে ভেদাভেদ ঠিক নয়।’ বুধবার দলের সভায় গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে এমনই মন্তব্য করেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।
পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন। কোমরবেঁধে নির্বাচনী-যুদ্ধে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। একের পর এক কর্মসূচি সাজিয়ে জনসমর্থন আরও বাড়িয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় তৎপরতা তুঙ্গে। একদিকে উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই একুশের ভোটে বাজিমাতের চেষ্টায় ঘাসফুল শিবির।
অন্যদিকে, শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে ময়দানে বিজেপি, বাম, কংগ্রেস। একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই বঙ্গ সফর করে গিয়েছেন জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসে ফের কলকাতায় আসতে পারেন শাহ। এরপর জানুয়ারির সেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসার প্রবল সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও।
এরাজ্যে বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করে একুশের ভোটে লড়াই করবে কংগ্রেস। রাজনীতির ময়দানে বিজেপি-তৃণমূলকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না, বুধবার কলকাতার রামলীলা ময়দানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন আগাগোড়া আক্রমণাত্মক মেজাজে।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণের পাশাপাশি তাঁর বক্তৃতার অনেকাংশ জুড়ে ছিল বিজেপির বিরোধিতা। গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘রামের দেশে আজ রাবণদের তাণ্ডব চলছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিলেন। ধর্মের নামে ভেদাভেদ ঠিক নয়। রামের দেশে ভেদাভেদ থাকতে পারে না।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একুশের লড়াই এবার সব দলের কাছেই মস্ত চ্যালেঞ্জ। গত কয়েক বছরে রাজ্যে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের ঠিক মুখে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে শুভেন্দুর গেরুয়া-যোগ।
গত শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহের উপস্থিতিতে তৃণমূলের হাফ-ডজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছাড়াও বাম ও কংগ্রেস ছেড়ে আরও তিন বিধায়ক ওই দিন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
দলবদল হয়েছে তৃণমূলেও। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা যোগ দিয়েছেন শাসকদলে। তবে দলবদলের রাজনীতিতে তৃণমূলকে ধারেভারে এখনই টেক্কা দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। সব মিলিয়ে একুশের লড়াইয়ে এবার কোনও দলই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.