অনলাইন ডেস্ক: গাছে ঝুলছে প্রেমিক শিপন মালাকারের (১৮) লাশ। আর পাশে বসে কাঁদছে এনী আক্তার (১৬) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী।
শনিবার মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত এলাকার জিরোপয়েন্ট এওলাছড়া পানপুঞ্জির গভীর জঙ্গল থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবক পার্শ্ববর্তী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের সিন্ধু মালাকারের ছেলে। এনী আক্তার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ারি গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। সে আলী আমজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের লাশের পাশে এনী আক্তার (১৬) নামক কান্নারত ওই কিশোরীকে পাওয়া যায়। পুলিশ লাশের সাথে তাকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমিক যুগল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার থেকে শিপন মালাকার ও এনী আক্তার নিখোঁজ। পরিবার তাদের খুঁজে না পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। সকালে স্থানীয়দের দেয়া খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, জিরোপয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় যুবকের লাশ ঝুলছে এবং পাশে বসে একটি মেয়ে কান্নাকাটি করছে। খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিপন ও এনীকে শনাক্ত করেন।
লাশের পাশে অবস্থানরত কিশোরী এনী আক্তার জানায়, শিপনের সঙ্গে তার ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। শুক্রবার বিকালে সে বাড়ি থেকে রাগ করে শিপন মালাকারের সঙ্গে ঘর ছেড়ে কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া পানপুঞ্জি এলাকায় আসে।
ততক্ষণে রাত নেমে আসে। গহীন অরণ্যে হাঁটতে গিয়ে সে পা ফসকে টিলার নিচে পড়ে যায়। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভোরে যখন তার জ্ঞান ফিরে তখন সে উপরে উঠে শিপনের লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।
কুলাউড়া থানার এসআই মাহসীন তালুকদার জানান, লাশের গায়ে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শিপনের পরনের সোয়েটার দিয়ে গলার সঙ্গে ফাঁস লাগানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেটি আত্মহত্যাই করেছে।
কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভুষণ রায় জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.