শিরোনাম :
বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ? দিনাজপুরে ড্রাম ট্রাকসহ ১০০ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩ ফরিদপুরে দুই সহোদর নিহতের ঘটনায় তিন মামলা
রাবির টেন্ডার বাণিজ্যে প্রকৌশলী-কর্মচারী সিন্ডিকেট!

রাবির টেন্ডার বাণিজ্যে প্রকৌশলী-কর্মচারী সিন্ডিকেট!

রাবির টেন্ডার বাণিজ্যে প্রকৌশলী-কর্মচারী সিন্ডিকেট!
ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক : উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা শেষে তারাই বড় বড় দফতরের কর্মকর্তা হন। আবার অনেকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হোক এমন প্রত্যাশা করেন না কেউই।

টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। দীর্র্ঘদিন ধরে চলা এই অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন একাধিক ঠিকাদার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, টেন্ডার বাণিজ্যের সাথে সরাসরি যুক্ত রাবি প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের করেকজন প্রকৌশলী-কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোটানি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. গোলাম কাউসার চাকরীতে যোগদানের পর থেকেই কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। ঠিকাদারী কাজে জড়িত প্রকৌশল শাখা’র সহকারী স্টোর কিপার রাতুল। তিনি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেমের অধিনে স্টোরের দায়িত্ব পালন করেন। তারা বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় বড় কাজের ঠিকাদারি করেন বেনামে। এছাড়া কোটেশানের কাজগুলো রাতুলকে দিয়ে করান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম। তিনি বারী, বাদশা, আল-আমিন, মতিহার ট্রেডার্স আমজাদ হোসেনসহ বিভিন্ন লাইসেন্সে ঠিকাদারী কাজ করান বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে রাবিতে প্রকৌশলীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে।

একাধিক ঠিকাদারের অভিযোগ, টেন্ডার ডন ও রাবির কর্মচারী গোলাম কাউসার, রাতুল, মামুনসহ পছন্দের ঠিকাদারদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেন নূরে আলম মামুন। তিনি প্রকৌশল শাখার নিম্নমান সহকারী সমমান (চেইনম্যান)। এই নূরে আলম মামুনকে ঠিকাদাররা মিস্টার ৫% বলে আখ্যায়িত করেন। কারণ ঠিকাদারদের ফাইল পাস করানোর জন্য ফাইল প্রতি ৫% টাকা নিয়ে থাকেন তিনি। এছাড়া টাকা না দিলে চেক আটকানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক।

অভিযোগ রয়েছে, রাবি প্রশাসন ভবনের প্রকৌশলীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে কোটি কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিচ্ছেন টেন্ডার ডনসহ কর্মচারী সি-িকেট। এছাড়া কোটেশনের ২ থেকে ৫ লাখ টাকার কাজগুলোও নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তারা। গত এক যুগের ব্যবধানে আঙ্গুল ফলে কলা গাছ হয়েছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাবি’র প্রকৌশল শাখার একটি সূত্র জানায়, ঠিকাদারদের সাথে যাদের বিশেষ সখ্যতা রয়েছে তারা হলেন- রাবির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান প্রমুখ। সরকারি নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে টে-ারের কাজগুলো পছন্দের ঠিকাদার ও কর্মচারীদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে বোটানি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. গোলাম কাউসার বলেন, আগে ঠিকাদারী কাজ করেছি। বর্তমানে আমার লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। তাই আর কাজ করিনা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।

প্রকৌশল শাখা‘র সহকারী স্টোর কিপার রাতুল বলেন, আমি কোন ঠিকাদারী কাজ করিনা। জড়িতও ছিলাম না।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার মমতাজুর রহমান ডন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি নিয়মিত ঠিকাদারী কাজে অংশ গ্রহণ করি এবং ইজিপি‘র মাধ্যমে ব্রাইট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে পাওয়া কাজগুলো ক্রয় করে কাজ করে থাকি। ইজিপি‘র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে গোপন সখ্যতার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আর অন্য সব ঠিকাদারদের মতই আমি কাজ করে থাকি। তবে আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই।

প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আদাজ বলেন, ইজিপি‘র মাধ্যমে যে টেন্ডারগুলো হয়, সেগুলো আমরা শুধুই দেখভাল করি। কোটেশনের কাজগুলো নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। এছাড়া অন্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেম বলেন, এসব ব্যাপারে আমার কোন কিছু জানা নেই। তিনি প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েই ফোন কেটে দেন।

মতিহার বার্তা ডট কম- ০৩ জানুয়ারী ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply