শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় ভোট শুরু হয়েছে

রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় ভোট শুরু হয়েছে

রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় ভোট শুরু হয়েছে
রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় ভোট শুরু হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভা এবং বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভার প্রায় ৪২ হাজার ভোটার ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করবেন। তিনটি পৌরসভাতেই নারী ভোটারের সংখ্যাই বেশি।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে একটানা ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শুক্রবার বিকালের মধ্যেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার ও ইভিএম পৌঁছে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে।

ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হলেও, কাকনহার ও আড়ানি পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।

একটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলেও বাকি দুইটি পৌরসভায় ভোটের আগের দিন পর্যন্ত পরিবেশ শান্ত ছিল।

তিনটি পৌরবাসীর দাবি, যাদেরকে তারা নির্বাচিত করবেন তারা আগামীতে পৌরসভাগুলোতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি স্থানীয় এমপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সমন্বয় করে নাগরিকদের ন্যায্য চাহিদা পূরণে সক্রিয় থাকবেন। জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাজের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবেন।

ভবানীগঞ্জ পৌসভার ৯টি ওয়ার্ডে এবার ১৪ হাজার ৪০৪ জন ভোটার ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। এই ভোটারদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। পৌরসভায় এবার মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪জন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩জন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক মণ্ডল এবং ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, পৌর ভোটকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত একে অন্যের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ছাড়া কোনো হানাহানির ঘটনা শোনা যায়নি। একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের মাঝে। পৌরসভায় এর আগে মেয়র ছিলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক মণ্ডল।

কাকনহাট পৌসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ২২৫ জন ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করবেন। এই ভোটারদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। মেয়র প্রার্থী ৩জন। যাদের মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আতাউর রহমান খান, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাফিজুর রহমান এবং লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে রুবন নির্বাচনের অংশ গ্রহণ করছেন। এছাড়া ৩৩ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সাধারণ) হিসেবে এবং ১৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে ভবানিগঞ্জ ও কাকনহাট পৌরসভায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শান্তিপূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভা নিয়ে শুরু থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সমর্থকদের সাথে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রর্থী এই পৌরসভায় মেয়র ছিলেন। এই পৌরসভার ৫টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আড়ানি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৮৪ জন। যেখানে নারীদের সংখ্যাই বেশি। পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে এবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তিন জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শহিদুজ্জামান শাহিদ, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তোজাম্মেল হক এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোক্তার আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর (সাধারণ) প্রার্থী ২৯ জন এবং সংরক্ষিত আনের প্রার্থী ১০জন।

মোক্তার আলী মেয়র থাকাকালীন সময়ে পৌরসভাটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়। পৌরসভার নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা ক্রয় করা হয়েছে।

তবে স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ আমলে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা আশেপাশের পৌরসভার তুলনায় কম। পৌরবাসীর প্রত্যাশা, আগামীতে যেই নির্বাচিত হবেন তিনি যেন স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সমন্বয় রেখে এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয়দের জীবনমানের উৎকর্ষ সাধনে ভূমিকা রাখেন।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, ৩টি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশ সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাঠে কাজ করছে। কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ মোতায়েন কারা হয়েছে। মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্সও প্রস্তুত রয়েছে।

আড়ানি পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। সকল পক্ষকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৬ জানুয়ারী ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply