শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
৭ বছরের শিশু ধর্ষণে তিন ধরনের প্রতিবেদন, সিভিল সার্জন-এসপিকে তলব

৭ বছরের শিশু ধর্ষণে তিন ধরনের প্রতিবেদন, সিভিল সার্জন-এসপিকে তলব

৭ বছরের শিশু ধর্ষণে তিন ধরনের প্রতিবেদন, সিভিল সার্জন-এসপিকে তলব
৭ বছরের শিশু ধর্ষণে তিন ধরনের প্রতিবেদন, সিভিল সার্জন-এসপিকে তলব

অনলাইন ডেস্ক: ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় তিন ধরনের প্রতিবেদনে গরমিল পাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।রোববার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শাহপরান চৌধুরী।

একই সঙ্গে ওই ঘটনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন আদালত। ওই দিন এ বিষয়ে শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর নির্যাতিতার পিতা নাসিরনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, ৪ সেপ্টেম্বর তার ৭ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মামলায় আসামির বয়স উল্লেখ করা হয় ১৫ বছর।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে পরদিন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ৮ সেপ্টেম্বর শিশুটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ অবস্থায় এবিষয়ে ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি ডাক্তারি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরইমধ্যে আসামি হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করে। গতবছর ৩ নভেম্বর এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এদিন আসামির বয়স প্রমানের জন্য তার জন্মসনদ দাখিল করা হয়।

জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স ছিল ১০ বছর। এ অবস্থায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে একমাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মামলার সিডি এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ৯(১) ধারায় অভিযোগপত্র দেয়। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা ও নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। এ সময় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের দেওয়া একটি ডাক্তারি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এবারের প্রতিবেদনে অসংগতি দেখার পর আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সদর হাসপাতালের আরেকটি (গতবছর ২২ নভেম্বরের) প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ অবস্থায় শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আদেশ দিলেন।

মতিহার বার্তা ডট কম: ১৭ জানুয়ারী ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply