বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় রাতের আঁধারে ঘুরে ঘুরে শীতার্থ অসহায় নির্মান শ্রমিকদের ও হত দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করছেন বাঘা পৌরসভা ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাসিরুল ইসলাম। সে বাঘা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মৃতঃ লুৎফর রহমানের ছেলে।
গত ১লা জানুয়ারী থেকে ২০ জানুয়ারী ( বুধবার ) পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি কম্বল বিতরন করেন তিনি। সে উপজেলার নারায়নপুর,পাকুড়িয়া,কলিগ্রাম,ছাতারী, চকছাতারীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে অসহায় শীতার্ত নির্মান শ্রমিক ও দরীদ্রদের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় তাকে সহযোগীতা করেন তার ছেলে সাগর হোসেন ।
পিতার সাথে কম্বল বিতরন কালীন সময়ে এক প্রশ্নের জবাবে সাগর বলেন, আমি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়নরত। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাসায় আছি।
আমি বিভিন্ন কাজে বাবা মাকে সহযোগিতা করি। বিশেষ করে শীতের এই তীব্রতায় আমার বাবা নিজে অসচ্ছল হবার পরেও নিজ উদ্দোগে শীতার্থ সহকর্মিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিষয়টা আমাকে আনন্দিত করেছে। কারন মানুষ মানুষের জন্য, এই ভাবনাটা গরীব হলেও আমার বাবার মধ্যে জাগ্রত রয়েছে। বাবার এই চেতনাবোধে আমি অত্যন্ত গর্বীত।
এ বিষয়ে নাসির হোসেন বলেন, আমি নিজে একজন নির্মান শ্রমিক ও ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ। অসহায় মানুষের দুঃখ কষ্টটা আমি বুঝি। তাই বৃহৎ পরিসরে না হলেও আমি নিজ উদ্দোগে ও বিভিন্ন দানশীল ব্যাক্তির মাধ্যমে তিন দফায় প্রায় ১৫০ জন শীতার্থ শ্রমিক ও দরীদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরন করেছি। আমি মনে করি, সরকারের পাশাপাশি গরীব অসহায় মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে কোন গরীব মানুষ এই শীতে কষ্ট পাবে না। বাঘায় এখন প্রচুর শীত, তাই বিভিন্ন সংগঠনকে সাধ্য অনুযায়ী অসহায়দের সহযোগিতা করার আহ্বানও জানান তিনি।
৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম টগর বলেন, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অসহায়দের সহোযোগীতা করা মানবীক গুনাবলী। নিজে স্বল্প আয়ের মানুষ হবার পরেও শীতার্থ শ্রমিকদের মাঝে কম্বল বিতরন করাটা প্রশংসনীয় কাজ। নাসিরের এই মানবিকতায় উদ্বুদ্ধো হয়ে সমাজের বিত্তবান মানুষের মানবিকতা বিকশিত হোউক।
মতিহার বার্তা ডট কম: ২০ জানুয়ারী ২০২১
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.