শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
গুরুত্বপূর্ণ ২টি পদের প্রধানসহ অন্তত ৬টি পদ রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘোষিত ভিসির দখলে

গুরুত্বপূর্ণ ২টি পদের প্রধানসহ অন্তত ৬টি পদ রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘোষিত ভিসির দখলে

গুরুত্বপূর্ণ ২টি পদের প্রধানসহ অন্তত ৬টি পদ রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘোষিত ভিসির দখলে
গুরুত্বপূর্ণ ২টি পদের প্রধানসহ অন্তত ৬টি পদ রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘোষিত ভিসির দখলে

অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) কমিউনিটি মেডিসনি বিভাগের (চুক্তিভিত্তিক) অধ্যাপক ডা. জাওয়াদুল হকের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি)। জাওয়াদুলের মূল কর্মস্থল রামেক হলেও কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) গুরুত্বপূর্ণ ২টি পদের প্রধানসহ অন্তত ৬টি পদ একাই দখল করে আছেন। তিনি একাই এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রাখায় রামেবিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম।

ভিসির অসুস্থ্যতা এবং একজন ভাড়াটিয়া ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ সব পদ দখল করে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে হচ্ছেনা।
রামেবির সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন এবং কলেজ পরিদর্শক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দু’টিসহ মোট ৬টি পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছেন। সেই সাথে শুরু থেকেই রামেবির সিন্ডিকেট সদস্য, সকল জনবল নিয়োগ কমিটির সদস্য এবং সংবিধি কমিটিরও সদস্য ডা. জাওয়াদুল হক। তিনি একাই এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে রাখায় রামেবিতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাসুম হাবিব ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন। ফলে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না। আর সেই সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঘোষিত ভিসিতে পরিণত হয়েছেন জাওয়াদুল হক। এছাড়াও অধিভূক্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে শুরু করে নার্সিং ইন্সটিটিউটগুলোসহ মোট ৬০টি প্রতিষ্ঠানে একাই দাপট দেখাচ্ছেন জাওয়াদুল হক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামেবির একাধিক সূত্র জানায়, ভিসির পরে বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ২টি দপ্তর হলো, কলেজ পরিদর্শক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সরকারি-বেসরকারি নার্সিং কলেজ, হেলথ্ টেকনোলজি এবং মেডিকেল কলেজ মিলে ৬০ টির মত প্রতিষ্ঠান রামেবির অধিভুক্ত। আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান অধিভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি, নবায়ন, কেন্দ্র প্রদান, শিক্ষার্থী নিবন্ধন, চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহন এবং ফলাফল প্রদানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ কলেজ পরিদর্শক এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে হয়। এরকম গুরুত্বপূর্ণ ২টি দপ্তরের প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন ডা. জাওয়াদুল হক। এছাড়া তার মূল কর্মস্থল হলো রামেকের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ। সেখান থেকেও গত বছরের নভেম্বরে অবসরে যাওয়ার পর চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তিনি ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। বর্তমানে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তিনি। এর পাশাপাশি বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এমপিএইচ ডিপার্টমেন্টের কোর্সের কোর্স কো-অর্ডিনেটানেরও তিনি। এতগুলো কাজ পদ দখল করে তিনি একাই রাজত্ব করে চলেছেন।
সূত্র আরও জানায়, ভিসি অধ্যাপক ডা. মাসুম হাবিব বার্ধক্যজণিত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের কারণে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে নিজে কোনো দিন অফিস করেননি। কোনমতে বাসা থেকে ফাইল-পত্র স্বাক্ষর করতেন তিনি। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভিসি দূরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর থেকে সবকিছু থমকে গেছে। এরমধ্যেই নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে তিনি (ভিসি) তাঁর আস্থাভাজন ডা. জাওয়াদুল হককে কলেজ পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন। এরপর একজন দক্ষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে কৌশলে সরিয়ে দিয়ে সে পদেরও অতিরিক্ত দায়িত্বে বসান ডা. জাওয়াদকে। তারপর থেকেই ডা. জাওয়াদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। এখন ডা. জাওয়াদুল হকই রামেবির অঘোষিত ভিসি। তার মর্জিতেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ-কর্ম। ভিসির অসুস্থ্যতা এবং একজন ভাড়াটিয়া ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ সব পদ দখল করে রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কাজই সুষ্ঠুভাবে হচ্ছেনা।

সূত্র জানায়, রামেবির শুরুতেই তাকে একাই গুরুত্বপূর্ণ ৩টি ডিনের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই সাথে নার্সিং অনুষদের পরীক্ষা কমিটির সভাপতিও করা হয় তাকে। সেসময় রামেবির নার্সিং অনুষদের ২০১৮ সালের প্রথম বর্ষ নার্সিং চুড়ান্ত পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন এবং মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার (ডা. জাওয়াদুল হক) বিরুদ্ধে।

বর্তমানে ওই বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। এসব নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি এবং বহু সমালোচনার মুখে ২টি ডিনের দায়িত্ব থেকে তাকে সরানো হয়। তবে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পরবর্তীতে আবারও তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি গুরুত্বপূর্ণ দু’টি দপ্তরের প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্বসহ অনেক পদে বসানো হয়েছে।

জানতে চাইলে জাওয়াদুল হক বলেন, আমি এখন মূলত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু তাদের চাহিদার কারণেই করতে হচ্ছে। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমি সঠিক মতোই আমার দায়িত্ব পালন করছি।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৫ ফেব্রয়ারি ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply