ফায়সাল হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার : পুরো রাজশাহী জুড়েই চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। ফসলি জমিসহ হাজার হাজার বিঘা জমি পুকুরে পরিণত হয়েছে বিগত কয়েক মাসে। এতে সর্বশান্ত হয়েছে সাধারণ কৃষকেরা। সাধারণ কৃষকদের আহাজারি ক্ষমতাসীন নেতাদের কাছে তুচ্ছ। কৃষকেরা বলেন আমাদের চোখের পানি দেখার কেউ নাই।
ফসলি জমির শেষে এবার চলছে ভিটা জমিতে পুকুর খনন। পবা উপজেলার চন্দ্রিমা থানাধীন কয়রা ও কালচিকা গ্রামে শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে পুকুর খনন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আম গাছ,তাল গাছ, ডাব গাছ, খেজুর গাছ, কলা গাছ, মেহগনি গাছ, সিমের বাহান, কলারবাগানসহ প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কেটে পুকুর খননের মত জঘন্য অপরাধ করছেন কিছু অসাধু, অর্থলোভী, স্বার্থবাদী, ক্ষমতাসীন নেতাকর্মীরা।
কলার বাগানের দিকে তাকালে দেখা যায় সকল গাছে কাইন কাইন কলা ধরে আছে যা এখনো পুষ্ট হয়নি। স্থানীয়রা জানায়, গাছপালা সব সাবাড় করে দুইটি পুকুর খনন করা হচ্ছে একটি করছেন নুরুল ইসলাম রামচন্দ্রপুর হাট কমিটির সভাপতি। অন্যটি নেতা ফারদিন। নেতা ফারদিন কে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন এমপি সাহেব সব জানেন, আপনাদের যা খুশি তাই লিখেন কোন সমস্যা নেই।
ফারদিনের পুকুর আয়তনের প্রায় ৩০ বিঘার উপরে এবং নুরুল ইসলামের পুকুর আয়তনে ২০ বিঘার ওপরে।কৃষকরা জমি দিতে না চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে জমি দিতে বাধ্য করা হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। নুরুল ইসলামকে জানতে চাইলে তিনি জানান, এমপি সাহেব জানেন এবং থানাতেও বলে দিয়েছেন আমার কোন সমস্যা নাই পুকুর কাটতে।
এদিকে উপজেলার মেজভালামে আনসার মেম্বারের ছেলে স্বপন ৬০বিঘা ও ৩০বিঘা আয়তনের দুইটি পুকুর খনন করছেন।বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্তসহ ফসলি জমি কেটে রাতারাতি কেটে পুকুরে পরিণত করছে। মুঠোফোনে স্বপনকে জানতে চাইলে তিনি জানান,এমপি সাহেব আমাকে পুকুর কাটার পারমিশন দিয়েছে বলে ফোন কেটে দেন।
পবা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল আক্তারকে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতিহার বার্তা ডট কম: ১২ ফেব্রয়ারি ২০২১
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.