বাঘা প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মা নদীর তিনটি বালুমহাল বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়ে বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য গোলাম ফারুক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে একটি আবেদন করেছেন।
বালুমহাল তিনটি হলো- পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর ও রাজাপুর চক এবং চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর। এ তিনটি বালুমহাল থেকে সরকার বছরে দুই থেকে তিন কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। তবে বালুমহালের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে সরকারের ৭০০ কোটি টাকার পদ্মার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, হাইড্রোলিক জরিপ ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে বালুমহালগুলো ইজারা দেয়া হচ্ছে। এর ফলে উত্তোলনযোগ্য বালুর মজুদ সম্পর্কে কিছুই জানা যাচ্ছে না। শুষ্ক মৌসুমে বালুমহাল ইজারাদার ইচ্ছেমতো বালু তুলছেন। এক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমানাও মানা হচ্ছে না। এর ফলে পদ্মায় পানি এলেই পাড় ভাঙছে। তখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীপাড়ের আবাদী-অনাবাদী জমি। ইতোমধ্যে উপজেলার অন্তত ৬০টি বসতবাড়ি ভেঙে পদ্মায় নেমে গেছে।
তাই বালুমহালগুলো বিলুপ্তির দাবি জানানো হয়। তা না হলে বালুমহাল ইজারা দেয়ার আগে যেন অন্তত হাইড্রোলিক জরিপ করে বালুর মজুদ এবং সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয় সেই দাবি জানানো হয়েছে এই আবেদনপত্রে। তবে ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে পাকুড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বালুমহালগুলো পুরোপুরি বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পুরো পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে এর ই-টেন্ডারও করা হচ্ছে। দুই-তিন কোটি টাকা রাজস্ব পেতে বালুমহাল ইজারা দেয়া বন্ধ করা না হলে ৭০০ কোটি টাকা জলে যাবে। তাই বালুমহালগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া উচিত।
জানতে চাইলে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, বালুমহালের ব্যাপারে একটি আবেদন পাওয়া গেছে। কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বালুমহালের কারণে দেশ বা জনগণের কোন ক্ষতি হতে দেয়া যাবে না।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.