শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
কঙ্গোয় মাটি খুঁড়লেই মিলছে সোনা!

কঙ্গোয় মাটি খুঁড়লেই মিলছে সোনা!

কঙ্গোয় মাটি খুঁড়লেই মিলছে সোনা!
কঙ্গোয় মাটি খুঁড়লেই মিলছে সোনা!

আন্তর্র্জাতিক ডেস্ক: সোনার কেল্লা নয়, এ যেন আস্ত এক ‘সোনার পাহাড়’! সম্প্রতি সে পাহাড়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে সুদূর কঙ্গোয়। সে দেশের এক পাহাড়ের মধ্যেই নাকি রয়েছে সোনার উপাদান। তাই ওই পাহাড় খুঁড়ে সোনা বার করায় মেতেছে ৮ থেকে ৮০— কঙ্গোবাসী!

সত্যিই কি কঙ্গোর ওই পাহাড়ে সোনা রয়েছে? আসলে ওই পাহাড়ের পাথুরে মাটিতে নাকি প্রায় ৬০ থেকে ৯০ শতাংশই আকরিকই সোনা। এমনটাই দাবি উঠেছে কঙ্গোর এক পাহাড় ঘিরে।

মধ্য আফ্রিকার দেশে কঙ্গোর দক্ষিণ কিভু প্রদেশে রয়েছে সে পাহাড়। লুহিহি এলাকায় ওই পাহাড়ের কথা জানা গিয়েছিল ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে।

লুহিহির পাহাড়ের কথা শোনামাত্রই ওই এলাকায় ছুটে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পাহাড় খুঁড়ে সোনা খুঁজতে লেগেছেন সকলেই।

সোনা খোঁজার ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন সাংবাদিক আহমেদ আলগোবারি। ২ মার্চ আহমেদের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত সাড়ে ২৭ হাজারেরও বেশি নেটাগরিক সেই ভিডিয়ো দেখে ফেলেছেন।

কী রয়েছে ভিডিয়োতে? ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই পাহাড় ঘিরে ভিড়ে ভিড়াক্কার। গাঁইতি-শাবল-বেলচা দিয়ে লুহিহির পাহাড়ের পাথুরে মাটি খুঁড়ে সোনা খুঁজছেন গ্রামবাসীরা।

অনেকে তো খালি হাতেই পাহাড়ের মাটি সংগ্রহ করতে লেগেছেন। এর পর সেই মাটি তুলে নিয়ে গিয়ে তাতে সোনা খুঁজছেন। ভিডিয়োয় একজনকে দেখা গিয়েছে, নিজের টি-শার্ট উল্টে তাতে মাটি ভরে নিয়ে যাচ্ছেন।

সোনার খোঁজে সকলেই পাহাড়ের মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অবস্থা এমনই যে ওই পাহাড়ের গায়ে আস্ত একটা খাদের সমান গর্তই হয়ে গিয়েছে।

আহমেদ জানিয়েছেন, পাথুরে মাটি থেকে সোনার উপাদান আলাদা করতে একটি পাত্রের জলে তা ধুয়ে নিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এ ভাবেই হাতের মুঠোয় উঠে আসছে সোনা!

সোনার খোঁজে সকলে এমনই মাতোয়ারা যে লুহিহির ওই গ্রাম ঘিরে পা রাখাই দায় হয়ে উঠেছিল। ফলে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেগতিক দেখে গত সোমবার থেকে ওই এলাকায় খননকাজ নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

দক্ষিণ কিভুর খনিমন্ত্রী বেনান্ত বুরুমে মুহিগিরওয়া জানিয়েছেন, ওই প্রদেশের রাজধানী শহর বুকাবুতে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে যে গ্রামে ওই পাহাড়টি রয়েছে, তাতে তিলধারণেরও স্থান নেই। আগামী নির্দেশিকা পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে গত বছর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কঙ্গোতে সোনা-সহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতব পদার্থের যত পরিমাণ খনন হয়, তার বেশির ভাগই নথিবদ্ধ করা হয় না।

তবে কোথায় যায় ওই মূল্যবান পদার্থ? রাষ্ট্রপূঞ্জের দাবি, কঙ্গোর পূর্বপ্রান্তের দেশগুলির মধ্যে দিয়ে সে সবই পাচার করা হয়।

মতিহার বার্তা / জি আর

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply