অনলাইন ডেস্ক: গত মার্চ রাজশাহী নগরীর আম চত্বরে মাছের আড়তে ভুটভুটিতে করে মাছ নিয়ে এসেছিলেন চালক আবুল কাশেম। অন্যের মাছ বিক্রি শেষে ফেরার পথে ওই আম চত্বরেই তাঁর সেই গাড়িটি জব্দ করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট হামিদুল হক। এরপর আবুল কাশেমের চলন্ত গাড়িটি জব্দ করে একটি মামলা দেন ওই সার্জেন্ট। সেই মামলাটির নিস্পত্তির জন্য গতকাল মঙ্গলবার নির্ধারিত দিন ছিলো।
দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা গ্রামের আবুল কাশেম অভিযোগ করে জানান, মামলাটি নিস্পতি করে তিনি যখন তাঁর ভুটভুটিটি নিতে যান, তখন দেখেন ভুটভুটির ব্যাটারিটি খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ব্যাটারি কোথায় সেটি জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গাড়ি ডাম্পিংয়ের ইনচার্জ এটিএসআই আব্দুল ওহাব উত্তর দেন, ‘তোর গাড়ির ব্যাটারি কোথায় আমি কি করে বলবো? ব্যাটারি নাই। তাই গাড়িতে নাই। থাকলে থাকত।’
এটিএসআইয়ের এমন কোথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে হতদরিদ্র আবুল কাশেমের। তিনি তাৎক্ষণিক ফোন করে এই প্রতিবেদককে জানান। এর পর আবুল কাশেম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার অনির্বান চাকমার কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু গতকাল বিকেল চারটা পর্যন্ত ওই ব্যাটারির ওভাবে আর ভুটভুটিটি ডাম্পিং থেকে বেরই করতে পারেননি আবুল কাশেম। তার অভিযোগেরও কোনো সুরাহা করা হয়নি।
এ নিয়ে জানতে চাইলে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের টিআই তোপন চৌধুরি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এই ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি ট্রাফ্রিকের উপপুলিশ কমিশনার অনির্বান চাকমার সঙ্গে কথার বলতে বলেন। পরে অনির্বান উপপুলিশ কমিশনার অনির্বান চাকমাকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।
জানতে চাইলে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এটি ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্ব। কিভাবে জব্দকৃত গাড়ির ব্যাটারি চুরি হলো সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে তারাই।’
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.