মতিহার বার্তা ডেস্ক : সন্তান কোলে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির দরজায় অবস্থান নিয়েছেন দিপ্তী রানী নামে এক গৃহবধূ। স্বামী ও সন্তানের অধিকার পেতে বুধবার সকালে ভোলার লালমোহনে শ্বশুর বাড়ির দরজায় অবস্থান নেন তিনি।
জানা গেছে, লালমোহন বাজারের ব্যবসায়ী কালিপদ বাবুর ছেলে উজ্জল বিয়ে করেন দিপ্তীকে। এরপর এক বছর সংসার করার পর তাদের এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ওই সন্তান ও স্ত্রী দ্বিপ্তীকে ভারতের কলকাতায় ফেলে পালিয়ে আসে উজ্জ্বল। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করে গত ১ মার্চ নতুন স্ত্রী নিয়ে লালমোহন আসে সে। এ খবর পেয়ে দিপ্তী তার সন্তান নিয়ে বুধবার সকালে লালমোহন এসে স্বামী ও সন্তানের অধিকার পেতে শ্বশুর বাড়ির দরজায় অবস্থান নেয়।
জানা গেছে, এখনও শ্বশুর কালিপদ দাস দিপ্তীকে বরণ করে নেয়নি। এতে ওই গৃহবধূ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন দিপ্তী। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বাড়ি গাজীপুরে। সেখানে উজ্জ্বলের সঙ্গে পরিচয়ের পর বিয়ে করে এক বছর সংসার করে তারা। পরে উজ্জ্বল বাবার চাপে তাকে অস্বীকার করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের ৪ জুন প্রথমবার গর্ভের সন্তান নিয়ে লালমোহন আসেন তিনি। ওই সময় উজ্জ্বল পালিয়ে গেলেও দিপ্তী শ্বশুর কালিপদ বাবুর বাড়ির গেটে অবস্থান নেয়।
তিনি জানান, এ নিয়ে প্রায় এক মাস বিভিন্ন নাটকীয়তা শেষে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে তাকে ঘরে তুলে নিতে বাধ্য হয় শ্বশুর। পরে উজ্জ্বল কলকাতার হাবড়ার বদর রোডে অবস্থান করলে দিপ্তী সেখানে চলে যায়। সেখানে উজ্জ্বল দিপ্তীকে মেনে নিয়ে আরও এক বছর সংসার করে। এরই মাঝে তাদের সন্তান জন্ম হয়। সন্তানের বয়স সাত মাস হলে উজ্জ্বল আবারো পিতার চাপে তাকে ও সন্তানকে রেখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
দিপ্তী আরও জানান, বুধবার সকালে লালমোহনে এসে শ্বশুরের সঙ্গে মুখোমুখি হন তিনি। কিন্তু তার শ্বশুর সন্তানসহ তাকে মেনে নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখে। শেষ পর্যন্ত সন্তানসহ তিনি বন্ধ দরজার সামনে অবস্থান নেয়। এ বিষয়ে উজ্জ্বলের পিতা কালিপদ বাবু বলেন, ‘আমার কোনো সন্তান নেই। উজ্জ্বলকে আমি ত্যাজ্যপুত্র করেছি।’সুত্র: সময়ের কন্ঠ
মতিহার বার্তা ডট কম ০৭ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.