অনলাইন ডেস্ক: টেলিভিশনগুলোতে রয়েছে নিয়ন্ত্রণ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ, মানবাধিকার পরিস্থিতি ভয়াবহ।
বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
বুধবার (৩১ মার্চ) বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে আমাদের সময় ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ খবর উঠে আসে।
এতে জাতীয় নির্বাচন, খেয়ালখুশিমতো হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, মিডিয়ায় সেন্সরশিপ, সাইট ব্লক করে দেয়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সমালোচনা করা হয়।
সরকারের সমালোচনাকারী গণমাধ্যমে সররকারি-বেসরকারি বিজ্ঞাপন না দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গোয়েন্দা সংস্থার চাপ দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক সাংবাদিক সরকারের হয়রানি ও প্রতিশোধ নেয়ার ভয়ে সমালোচনামূলক লেখা নিজেরাই সেন্সর করেন।
ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ থাকার কারণে জেলের ভিতরে বন্দিদের জীবন হুমকিতে রয়েছে।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মুক্ত মত প্রকাশ, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের উপর বিধিনিষেধ রয়েছে।
নারী-কন্যা শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও দুর্নীতি অব্যাহত আছে।
তদন্ত ও জবাবদিহিতায় স্বচ্ছতা না থাকায় সমকামী ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
সরকার ও তার এজেন্টরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম করাসহ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত।
কমপক্ষে ১৯ জন সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, অন্যান্য নাগরিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ঢাকায় মর্কিন দূতাবাস বিবৃতিতে বলেছে, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা ও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বরাবরের মতো একসঙ্গে কাজ করবে।
এই প্রতিবেদনে কোনো ধরনের আইনি সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় না। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনাই এর লক্ষ্য।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.