শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার সভাপতি মাদানীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার সভাপতি মাদানীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার সভাপতি মাদানীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার সভাপতি মাদানীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর আব্দুস সালাম আল মাদানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আল মাদানীর পুত্রবধূ ও ভাতিজিও এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির নামে ডোনেশন (উৎকোচ) নেওয়া পাঁচ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানের একাউণ্টে না রেখে স্ত্রীর ব্যক্তিগত একাউণ্টে জমা রেখেছেন। অথচ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কিছুই জানেন না। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো রেজুলেশনও হয়নি। দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে মাদরাসাটিতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু শূন্য পদ পূরণে এতোদিনেও কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। নেয়া হয়নি যথাযথ কোনো পদক্ষেপ।

এসব নানা অভিযোগ তুলে সম্প্রতি মো: আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আব্দুস সালাম আল মাদানীর বিরুদ্ধে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, দুদক, পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে বলা হয়, রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর আব্দুস সালাম আল মাদানীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তার স্ত্রী আয়েশা একই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘ আট বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আল মাদানীর পুত্রবধূ ও ভাতিজিও এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির নামে ডোনেশন (উৎকোচ) নেওয়া পাঁচ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানের একাউণ্টে না রেখে স্ত্রীর ব্যক্তিগত একাউণ্টে জমা রেখেছেন। অথচ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কিছুই জানেন না। এমনকি এ সংক্রান্ত কোনো রেজুলেশনও হয়নি।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে মাদরাসাটিতে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু শূন্য পদ পূরণে এতোদিনেও কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। নেয়া হয়নি যথাযথ কোনো পদক্ষেপ। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তার কাছ থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ডোনেশন (উৎকোচ) নেন। এই টাকা প্রতিষ্ঠানের নামে না রেখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্ত্রীর ব্যক্তিগত একাউণ্টে জমা রেখেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই নিজের স্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়েই কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো: শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মুঠোফোনে নয়, সরাসরি কথা বলবো।

রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আয়েশার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহিলা আলিম মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর আব্দুস সালাম আল মাদানী বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের একাউণ্টে টাকা রাখা হয়েছে। নগদ পাঁচ লাখ টাকা ডোনেশন নেয়া হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত একাউণ্টে নয়, প্রতিষ্ঠানের একাউণ্টে রাখা হয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত রেজুলেশন নেই কেন- এমন প্রশ্নের সঠিক জবাব এড়িয়ে যান তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যোগ্য লোক না পাওয়ায় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়নি। তাহলে বিজ্ঞপ্তি কেন দেয়া হলো না এমন প্রশ্নের জবাবও এড়িয়ে যান তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply