নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদক কারবার অব্যাহত ভাবে চালিয়ে নিতে নতুন কৌশল নিয়েছে রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ ইউসুফপুরের রাসেদুল (৩০)ও তার ভাইরা রাজ (৩০) নামের দুই মাদক কারবারী।
তারা চারঘাট থানাধীন ইউসুফপুর বাজার সংলগ্ন হাজীর মোড় গ্রামের বাসিন্দা। একাধিক মাদক মামলার আসামিও তারা।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানা এলাকা ও কাটাখালী থানা এলাকায় এখন ফেনসিডিলের দাম দুই হাজার টাকা। তবে ইউসুফপুরে ১৮শত থেকে ১৯শত টাকা দিলেই মিলছে এক বোতল ফেনসিডিল। আর তাই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অটো মোটসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে মাদকসেবীরা পাড়ি জমাচ্ছে ইউসুফপুরে।
উপজেলার ইউসুফপুর বাজারে জুতা, স্যান্ডেলের দোকান দিয়ে বৈধ ব্যবসার আড়ালেই চলছে ফেনসিডিল ও ইয়াবার কারবার রাসেদুলের। দোকানে যাচ্ছে মাদক সেবিরা। দর-দাম ঠিক হলে টাকা নিয়ে খদ্দেরকে বলছে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ান। পরে সেখানেই পৌঁছে দিচ্ছে ফেনসিডিল। এছাড়া বাড়িতে মাদক বিক্রি করছে তার স্ত্রী। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে মাদককারবার চালিয়ে আসছে রাসেদুল ও তার ভাইরা রাজ ও তার স্ত্রী। রাশেদুলের স্ত্রী নিজ হাতে কাস্টমারদের কে ফেনসিডিল তুলে দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও আছে সাংবাদিকের কাছে।
স্থানীয়রা জানায়, জুতা স্যান্ডেলের ব্যবসা লোক দেখানো। প্রকৃত কারবার ইয়াবা ও ফেনসিডিলের। দোকানে বসে মাদকসেবীদের কাছে টাকা নিচ্ছে আর বাড়ি থেকে মাদক দিচ্ছে তার স্ত্রী। স্থানীয়রা আরো বলেন, ভারত থেকে মাদক আনার কাজটা করে রাজ। এছাড়াও ইউসুফপুর কান্দি পাড়া ও সিপাইপাড়া গ্রামের বড় মাদক কারবারীরা হলো: মাসুম ঠসা, আজাদ, সুমন, লিটুন, লিটন, আরিফ, আসাদুল, সাইদুর, শরিফ, আরিফ, স্বপন, আলিম। এই থানার টাংগন পূর্বপাড়া গ্রামের আরজুল, বাহারুল, বাদল, রায়হান, সজল, রাজিব, রনি, জসিম-(১), জসিম-(২)।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদকের উপর অভিযান চলছে। রাসেদুল ও তার ভাইরা রাজের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও অন্যান্য মাদক কারবারীদের উপর অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।
জানতে চাইলে চারঘাট সার্কেল এএসপি নুরে আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। জুতা স্যান্ডেলের দোকান দিয়ে আড়ালে মাদক কারবারী রাজ ও রাসেদুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
মতিহার বার্তা ডট কম / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.