শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
রাজশাহীতে লু হাওয়ায় (হিটশক) পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ধান

রাজশাহীতে লু হাওয়ায় (হিটশক) পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ধান

রাজশাহীতে লু হাওয়ায় (হিটশক) পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ধান
রাজশাহীতে লু হাওয়ায় (হিটশক) পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ধান

মঈন উদ্দীন: প্রকৃতিতে হঠাৎ গরম বাতাস। আবহাওয়াবিদদের ভাষায় এমন বাতাসকে বলা হয় ‘লু হাওয়া’। এই লু হাওয়ায় রাজশাহীর ২৮ হেক্টর জমির ধান পুড়ে গেছে।

কৃষিবিদেরা একে ‘হিটশক’ বলছেন। তীব্র তাপমাত্রায় ধানগাছ শুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকেই হিটশক বলা হয়ে থাকে। এছাড়া দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়া ও তীব্র তাপদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। ধানের শীষগুলো সাদা হয়ে মরে যাচ্ছে। আর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কপাল পুড়ছে কৃষকের। কৃষকের কাছে আতঙ্কের নতুন নাম হিটশক! জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট এ পরিস্থিতিকে কৃষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন ধান গবেষকরা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে চলতি বোরো মৌসুমে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধানচাষ হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল বিকালে লু হাওয়ায় ২৮ হেক্টর জমির ধানগাছ পুড়েছে। হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিক টন ধান হিসেবে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৮ মেট্রিক টন। কিছু দিন পর ক্ষতি ভালভাবে বোঝা যাবে। তখন ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, লু হাওয়ায় রাজশাহীর তিনটি উপজেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে। এগুলো হলো- পবা, তানোর ও গোদাগাড়ী। গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এসব এলাকায় বিরাজ করছে শুষ্ক বাতাস। প্রতিদিন তাপমাত্রা থাকছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। তাই মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে লু হাওয়া।

গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিজ্ঞানীরা পবা উপজেলার আলিমগঞ্জ ও কসবা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা কৃষকের সঙ্গে কথা বলে সবকিছু শুনেছেন। ক্ষয়ক্ষতি কেমন হতে পারে সেটিও নিরূপণ করেছেন। এখন করণীয় কী সেটাও তাঁরা চাষিদের জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. ফজলুল ইসলাম বলেন, এবার দীর্ঘ সময় বৃষ্টির দেখা নেই। আবহাওয়া অত্যন্ত রুক্ষ। ৪ এপ্রিল সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ছাড়াই ঝড় শুরু হয়। সেদিন বাতাস ছিল অতিরিক্ত গরম। আদ্রতা ছিল শুণ্যের কাছাকাছি। ফলে সেদিন যেসব ধানের শীষ বের হয়েছিল সেগুলোর ফুল হিটশক হয়ে ঝরে গেছে। লু হাওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। বৃষ্টি হলে এটা হত না।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়াল বলেন, ৪ এপ্রিল ঘন্টাব্যাপী বৃষ্টিহীন ঝোড়ো বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ও বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় বোরো ধানের ক্ষেতের শীষ মরে গেছে। তিনি বলেন, জলীয় বাষ্প কম থাকলে আমরা যে তাপমাত্রা রেকর্ড করি না কেন, এর চেয়ে অনেক বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হবে। তখন মনে হয় লু-হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সেদিন মূলত এ ব্যাপারটা ঘটেছিল।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply