শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রোজার শুরু থেকেই রাজশাহীতে উঠেছে আখের রসের ব্যপক চাহিদা

রোজার শুরু থেকেই রাজশাহীতে উঠেছে আখের রসের ব্যপক চাহিদা

রোজার শুরু থেকেই রাজশাহীতে উঠেছে আখের রসের ব্যপক চাহিদা
রুয়েটের সামনে আখের রস বিক্রির ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে রোজার শুরু থেকেই আখের রসের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। অগ্নি ঝরা রোদে পোড়া দিন শেষে ইফতারে তৃষ্ণা মেটাতে রোজাদারেরা ভিড় করছেন আখের রস বিক্রেতাদের কাছে। সবার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম এমন চিত্রই দেখা গেছে।

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) গেট আখের রস বিক্রি করেন পিয়ারুল (৪০) ও তার ছেলে জাহিদ (২৫)। গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে তাঁর কাছে ভিড় বাড়তে থাকে মানুষের। তারা যা আখ এনেছিলেন বিকাল ৫টার মধ্যেই প্রায় শেষ হয়ে যায়। ক্রেতার সংখ্যা এত বেশি ছিল যে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত আখ মাড়াই মেশিনের মাধ্যমে রস বের করে দিতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন পিতা-পুত্র।

এখানে আখের রস কিনতে গিয়ে আবু হেনা মোস্তফা জামান নামে এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিবছরই তিনি ইফতারে আখের রস রাখেন। ইফতারে আখের রস আর লেবুর শরবত তাঁর তৃষ্ণা মেটায়। এবার রমজানে গরম আরও বেশি। তাই আখের রসের জন্যই ছুটে এসেছেন। রমজানের প্রতিটা দিন ইফতারে আখের রস রাখতে চান বলেও জানান তিনি।

সব রস বিক্রি শেষে বিক্রেতা পিয়ারুল বললেন, সারাবছরই তিনি এখানে আখের রস বিক্রি করেন। রমজান এলেই চাহিদা বেড়ে যায়। এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাই ভেবেছিলেন চাহিদা আগের বছরের চেয়ে কমই হবে। কিন্তু দেখেন ভিন্ন চিত্র। আশপাশের পাড়া-মহল্লার মানুষ লকডাউন উপেক্ষা করেই তাঁর কাছে আসেন রস কিনতে। দুপুর ২টা থেকে ৫টার মধ্যেই চার মণ আখের রস বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি লিটার রসের দাম ধরেছেন ৮০ টাকা করে। বিক্রি শেষে তার মুনাফা দাঁড়ায় ৯০০ থেকে ১হাজার টাকা।

এই বিক্রেতা জানিয়েছেন, প্রতিদিন তিনি দুই মণ আখ মাড়াই করে রস বিক্রি করতে পারেন। রমজানে চাহিদা বাড়ে বলে এ দিন তিনি চার মণ আখ এনেছিলেন। কিন্তু এই আখের রস দিয়েও চাহিদা মেটানো যায়নি। পরদিন থেকে তিনি আরও বেশি আখ আনবেন।

তিনি আরও বলেন, এবার রমজানে লকডাউনের মধ্যেও রস বিক্রি করতে পারলে দিনে অন্তত দেড় হাজার টাকা করে লাভ হবে বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply