শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
বাঘায় মটার চুরির অভিযোগে তিনজনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

বাঘায় মটার চুরির অভিযোগে তিনজনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

বাঘায় মটার চুরির অভিযোগে তিনজনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন
বাঘায় মটার চুরির অভিযোগে তিনজনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

বাঘা প্রতিনিধি: বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামে জল মটার চুরির অভিযোগে ৩ জনকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় বাধা দেয়ায় তার মা-বাবাকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক আম বাগানের মধ্যে মেহগনি গাছে রশি দিয়ে বেধে তাদের নির্যাতন করা হয়।

নির্যাতনে শিকার বারশতদিয়াড় গ্রামের টুলু হোসেনের ছেলে দুলু হোসেন (৩০), হেলালপুর গ্রামের সারাত আলীর ছেলে মাইদুল ইসলাম (৪০), মহদিপুর গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৫)। তাদের ধরে এনে আযুব আলীর আম বাগানের মধ্যে মেহগনি গাছের সাথে রশি দিয়ে বেধে নির্যাতন করা হয়।

এ সময় তাদের নির্যাতন করার দৃশ্য এলাকার শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছিল। কিন্তু নির্যাতনকারীদের ভয়ে কেউ তাদের রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেনি। তাদের শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেহগনির গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে তারা জানান।

জানা যায়, উপজেলার মহদিপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আযুব আলীর বাড়ির আঙিনায় জলমটর বসানো ছিল। এই জলমটরটি তিনদিন আগে (বুধবার) রাতে চুরি হয়। চুরির অভিযোগে শনিবার ভোর রাতে ঘুম থেকে তুলে এনে এ নির্যাতন চালায় আযুব আলী ও তার সহযোগীরা।

এ বিষয়ে আইযুব আলী জানান, আমার বাড়ির আঙিনা থেকে দুলু, মাইদুল, সাইদুল রাতের আঁধারে জলমটর চুরি করে নিয়ে যায়। জলমটরটি স্থানীয় ভাঙড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়। গোপনে তথ্য সংগ্রহ করে শনিবার সকালে তাদের ধরে এনে মেহগনি গাছের সাথে শুধু বেঁধে রাখা হয়। তাদের কোন প্রকার মারপিট করা হয়নি। পরে চৌকিদারের সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তবে চুরির বিষয়টি তারা এলকার শত শত মানুষের কাছে স্বীকার করেছেন বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকরা অবগত করলে চৌকিদার পাঠিয়ে তাদের আমার কার্যালয়ে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে ইউপি মেম্বার ও স্থানীয়দের নিয়ে সমঝোতার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাঘা থানার তদন্ত (ওসি) আবদুল বারী জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ করলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply