শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
বাগমারায় ‘হক বাহিনী’র তাণ্ডবে গ্রামছাড়া অর্ধশত পরিবার

বাগমারায় ‘হক বাহিনী’র তাণ্ডবে গ্রামছাড়া অর্ধশত পরিবার

বাগমারায় ‘হক বাহিনী’র তাণ্ডবে গ্রামছাড়া অর্ধশত পরিবার
বাগমারায় ‘হক বাহিনী’র তাণ্ডবে গ্রামছাড়া অর্ধশত পরিবার

অনলাইন ডেস্ক: বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সাঁইধারা গ্রামের আলোচিত ব্যক্তি মোজাম্মেল হক। গ্রাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি তিনি। গ্রামের একক অধিপত্য ধরে রাখতে তার নেতৃত্বে গ্রামে রয়েছে ‘হক’ বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ওই গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার।

গ্রামের প্রতিবন্ধীসহ নিরীহ লোকজনকে মারপিট, জমি দখল, গোরস্থান দখল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর। কেউ প্রতিবাদ করলেই হত্যার হুমকি, একঘরে করে রাখার হুমকি। সবকিছুই যেন মোজাম্মেল হকের ইশারায়। সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হকসহ তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পুরো গ্রামের লোকজন।

গতকাল দুপুরে সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়, হামলা, ভয়-ভীতি আর ক্ষমতার দাপটের ভয়ে মুখ খুলছেন না ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন কাজে হচ্ছে না। মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে কথা বলায় চার মাস থেকে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলীর পরিবারকে। থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলেও হয়নি তার সমাধান। গত ২৩ এপ্রিল রাতে মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন ‘হক’ বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জাফর আলীসহ প্রায় ১০ জন গ্রামবাসী। তাদের মধ্যে বর্তমানে কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

রোববার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন ‘হক’ বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। এ সময় গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বাধীন ‘হক’ বাহিনীর প্রায় ২০/২২ জন সন্ত্রাসী ক্যাডার গত ২৩ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে গ্রামের অধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাঁইধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জমি সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠকে লাঠিশোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হক ও তার ‘হক’ বাহিনীর ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের নামে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিকে পুলিশী ভূমিকা না থাকায় এবং ক্ষমতাশীন দলের কিছু নেতার ছত্রছায়ায় আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওই বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, মোজাম্মেল হক এলাকায় জমি ক্রয়ের নামে তাণ্ডব শুরু করেছেন। তিনি একজনের জমি ক্রয় করে অন্য জনের জমি দখল করেন। জমি ক্রয়ের নামে ওই গ্রামের এক প্রতিবন্ধী বাবুল হোসেনের গোরস্থানের জমিও দখল করতে বাদ রাখেননি। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে মারপিট করা হয়। বর্তমানে ২৩ এপ্রিলের পর থেকে ঘরছাড়া রয়েছেন ওই গ্রামের অন্তত অর্ধশত পরিবারের লোকজন। তারা বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

থানায় একাধিকবার অভিযোগ করে কোন ব্যবস্থা নেইনি পুলিশ। তারা যেন দ্রুত বাড়িতে ফিরতে পারেন সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আইনাল হক, নুরুল ইসলাম, নওসাদ আলী, আরশাদ আলী, মাস্টার বদরুজ্জামান, জয়নাল হক, সুশীল চন্দ্র ও চন্দন কুমার প্রমূখ।

অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেছেন।

বাগমারা থানার ওসি তদন্ত আফজাল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply