শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
রাজশাহীতে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিন থেকে আম ভাঙা শুরু

রাজশাহীতে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিন থেকে আম ভাঙা শুরু

রাজশাহীতে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিন থেকে আম ভাঙা শুরু
রাজশাহীতে প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী জৈষ্ঠ্যের প্রথম দিন থেকে আম ভাঙা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার : প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী আজ গাছ থেকে নামানো হচ্ছে মওসুমের প্রত্যাশিত রাজশাহীর আম। প্রথম দিন সব ধরনের গুটি আম পাড়তে পারছেন চাষিরা।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে রাজশাহী শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাগান থেকে পরিপক্ব আম ভাঙা হচ্ছে। স্বাদে-গুনে যার কোনো জুড়ি নেই জাত আমখ্যাত সেই গোপালভোগ নামবে আরও পরে। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় নামবে গোপালভোগ আম। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

গতকাল শনিবার সকালে রাজশাহীর পাবা উপজেলার বিভিন্ন গিয়ে দেখা যায়, সে সমস্ত এলাকার বেশ কিছু গাছ থেকে গুটি আম ভাঙা হচ্ছে। এগুলো সবই প্রায় আগাম জাতের। পরে প্লাস্টিকের ক্যারেটে করে সেই আম তোলা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানে। এর পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট মোকামে।

স্থানীয় আম চাষি নূরুল আমিন বলেন, পরিপক্ক এই আম কাঁচা অবস্থাতেই বিক্রি করা হবে আজ থেকে। রাজশাহীতে সাধারণত এই সবুজ (কাঁচা) আমই বিক্রি করা হয়। এগুলো বাড়ি নিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে রেখেই পাকিয়ে সবাই খেতে পারেন। যে কারণে কোনো বিষাক্ত কেমিক্যালের ভয় থাকেনা। আর অল্পকিছু আম পেকে যায় গাছেই। সেগুলো খুচরা বাজারে বিক্রি করা হয়। ফলে আমের রাজধানী রাজশাহীতে বিষমুক্ত আমই কেনাবেচা হয়। বাজারে গিয়ে যারা পুরোপুরি পাকা রঙের আম কিনতে চান তারাই প্রতারণার শিকার হন। কারণ এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এ ধরনের ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সবুজ আম নিয়ে গিয়ে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল স্প্রে করে হলুদ রং ধারণ করান। কিন্তু স্থানীয়রা পাকা রঙের আম না কেনায় তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান এই আমচাষি।

মনিরুল ইসলাম নামের অপর আমচাষি জানান, নির্ধারিত দিন থাকলেও আজ নয়, ২২ মে’র পর তিনি গুটি আম ভাঙবেন। কারণ এর আগে তার গাছের আমে পরিপক্কতা আসবে না। আর স্বাদও হবে অনেক কম। তাই অন্যরা ভাঙলেও তিনি আজ আম ভাঙবেন না।

এদিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জাতের আম পাড়া শুরু হবে। তবে, কোনো আম আগে পাকলে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানাতে হবে। তার পরিদর্শন শেষেই গাছ থেকে নামানো যাবে আম। রাজশাহীতে সাধারণত সবার আগে পাকে গুটি জাতের আম।

জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে এই আমটি নামাতে পারছেন চাষিরা। আর উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ ২০ মে, রানিপছন্দ ২৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা নামানো যাবে ২৫ মে থেকে এবং খিরসাপাত বা হিমসাগর ২৮ মে থেকে নামানো যাবে। এছাড়া ল্যাংড়া আম ৬ জুন, আম্রপালি এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে নামানো যাবে। আর সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, গুটি আম প্রতি বছরই একটু আগে পাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাই অনেকেই আজ গুটি আম নামাতে শুরু করেছেন। তবে আঁশযুক্ত এই আমের স্বাদ তুলনামূলক কম।

বিভিন্ন জাতের জনপ্রিয় আমের পরিপক্বতা আসার সময়কালের মধ্যে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উঠবে গোপালভোগ আম। অত্যন্ত সুস্বাদু, আঁশবিহীন, আটি ছোট আম। সাইজ মাঝারি, কেজিতে ৫টা থেকে ৬টা ধরবে। এরপর পাকা শুরু হবে ল্যাংড়া (হিমসাগড়) আম। তাই রাজশাহীতে জুনের প্রথম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে উঠবে ল্যাংড়া আম। নাম ল্যাংড়া হলেও এর স্বাদ অসাধারণ। আটি ছোট ও পাতলা, খোসা খুব পাতলা, রসালো, গায়ে শুধুই মাংসল। এভাবে পর্যায়ক্রমে রাজশাহীর সব আম নামতে শুরু করবে বলেও জানান ফল গবেষণা কেন্দ্রের এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে জে এম আব্দুল আওয়াল বলেন, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৩৭৩ হেক্টর বাড়িয়ে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। তাপদাহ কেটে গেলে আর নতুন কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগ না এলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্য হবে না বলেও মতামত রাজশাহী কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তাদের।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply