শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
রাজশাহীতে ধান কাটার আগ মুহূর্তে পোকার আক্রমণ: কৃষকের ঘুম হারাম

রাজশাহীতে ধান কাটার আগ মুহূর্তে পোকার আক্রমণ: কৃষকের ঘুম হারাম

রাজশাহীতে ধান কাটার আগ মুহূর্তে পোকার আক্রমণ: কৃষকের ঘুম হারাম
রাজশাহীতে ধান কাটার আগ মুহূর্তে পোকার আক্রমণ: কৃষকের ঘুম হারাম

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় ধান কাটার আগ মুহূর্তে পোকার আক্রমণে কৃষকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। উপজেলার বড়গাছিসহ আশপাশের এলাকায় আধাপাকা বোরোধানের খেতে হানা দিয়েছে কারেন্ট পোকা ও নেকব্লাস্ট। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মাঠে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। তেমন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ধানের দাম ভালো থাকায় এবার রাজশাহী জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরোধানের চাষ হয়েছে। জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৫ হাজার ২৫০ হেক্টর। আর চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৭৩২ হেক্টর। পবা উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১১০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবা উপজেলার বড়গাছির মাধরপুর, কাঞ্চিয়াপাড়া ও তালগাছি এলাকায় প্রায় তিন শ বিঘা জমিতে কারেন্ট পোকা ও নেকব্লাস্টের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক দিয়েও ধান নষ্ট হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে একদিকে ধান কাটতে হবে না চাষিদের এবং অন্যদিকে লাখ লাখ টাকার লোকসান গুণতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ধানের শীষ ঠিকই আছে কিন্তু কোন শীষেই ধানের খোসার মধ্যে চাল নেই। শীষের গোড়ায় কালো-সাদা দাগ আছে। মূলত এসব ধানের প্রতিটি থোকায় ধান নেই আছে চিটা। ধানখেতে উপস্থিত আহসান হাবিব ও বেলাল উদ্দিন, বলেন, বিকেলে ভালো ধান জমিতে দেখে গেলে সকালে গিয়ে জমিতে ধানের শীষে সাদা চিটা থাকলেও দানা থাকে না। এই সংকট কালে চাষিরা দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির নামিদামি ব্যান্ডের কীটনাশক ওষুধ ছিটিয়ে কোনা কাজে আসছে না।

জানা যায়, এই উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে দিগন্ত জুড়ে ছিল পাকা ধান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকার আক্রমন ছাড়া কৃষকেরা আগাম ধান কেটে ঘরে তুলছেন। তবে আলু তুলে নামলা (দেরিতে) লাগানো ধানের খেতে কারেন্ট পোকা ও নেকব্লাস্ট আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা।

চাষি আহসান হাবিব জানান, এই এলাকায় বেশির ভাগ চাষিই জমি লিজ নিয়ে বোরোধানের চাষ করে থাকে। চলতি মৌসুমেও বোরোধানের ভাল ফলনের বুক ভরা আশা করলেও ধান কাটার আগ মুহূর্তে ধান ধ্বংসকারী কারেন্ট পোকা হানা দেয়ার কারণে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। নানা জাতের ওষুধ ছিটিয়েও কাজ হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে বড়গাছি ১নং ব্লকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে বড়গাছির কাঞ্চিয়াপাড়া, মাধবপুর, কালুপাড়া বিলে বেশ কিছু কৃষকের জমিতে নেক ব্লাস্ট ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছিল। পোকা দমনে মসজিদে মাইকিংসহ পাশে থেকে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চাষিরা সেই মত ব্যবস্থা নেয়ায় এখন পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মাঠে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।

পবা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন সুলতানা জানান, মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে কিছু জমিতে পোকার আক্রমণ হয়েছে। কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে দেরিতে লাগানো ধানে পোকার আক্রমন হচ্ছে। ফলন কিছুটা কম হলেও কৃষকের লোকসান হবে না। এ নিয়ে প্রতিদিনই জুম সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিকারের বিষয়টিও কৃষকদের জানানো হচ্ছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply