শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
রাজশাহীতে কৃষকের নামে আমদানিকৃত গম কিনছে খাদ্য গুদাম

রাজশাহীতে কৃষকের নামে আমদানিকৃত গম কিনছে খাদ্য গুদাম

রাজশাহীতে কৃষকের নামে আমদানিকৃত গম কিনছে খাদ্য গুদাম
রাজশাহীতে কৃষকের নামে আমদানিকৃত গম কিনছে খাদ্য গুদাম

অনলাইন ডেস্ক: চলতি অর্থ বছরে পুঠিয়ায় গম ক্রয় শুরু করছেন উপজেলা খাদ্য গুদাম। প্রতিমণ এক হাজার ১২০ টাকা দরে গম ক্রয়ের নির্দেশনা রয়েছে। তবে গুদাম কর্মকর্তার সহযোগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল চাষিদের নামে আমদানিকৃত গম সরবরাহ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বছর উপজেলায় ৫১৮ মে.টন গম কৃষকদের নিকট থেকে কেনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত গত কয়েকদিনে ৫০ মে.টন গম কেনা হয়েছে। বাকি গম আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কেনা সম্পন্ন করা হবে।

ব্যবসায়ীদের আমদানিকৃত গম কেনো কিনছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা কৃষিকার্ড দেখে গম কিনছি, ব্যবসায়ী দেখে নয়। গুদামে যে বস্তা বা গম আসছে তা আমদানিকৃত এমন কোথাও লেখা নেই। গমের মান ভালো তাই আমরা কিনছি।

রুবেল হোসেন নামে গম সরবরাহকারী ট্রাকের স্টাফ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- সোনা মসজিদ বন্দর থেকে এই গম এসেছে। এগুলো ভারতীয় আমদানিকৃত গম। ট্রাকের মধ্যে কয়েকটি বস্তা আমাদের দেশের নয়। তাই ভারতীয় সীল লাগানো এই বস্তায় গম নিবেন না খাদ্য গুদাম। যার কারণে গুদামের সামনে বস্তা বদল করা হচ্ছে।

আবুল হোসেন নামের একজন স্থানীয় চাষি বলেন, গোডাউনে এখন আর কৃষকরা ধান-গম বিক্রি করেন না। সেখানে চাষিদের কৃষিকার্ড বিক্রি হয়। আর রাজনৈতিক নেতা ও গুদাম কর্তৃপক্ষের যোগ সাজসে ব্যবসায়ীরা ধান-গম সরবরাহ করেন। আর কৃষকরা ধান-গম নিয়ে গুদামে গেলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অযুহাতে তা ফেরৎ দেন। এরমধ্যে দুই একজন দিতে পারলেও গুদাম কর্মচারি ও লেবার বকস্সি দিতে হয়। যার কারণে চাষিরা গুদামে বিক্রির আগ্রহ দেখায় না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বলেন, গত কয়েকদিন আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে চলতি মৌসুমের গম কেনা শুরু হয়েছে। আমরা কৃষিকার্ড দেখে প্রকৃত চাষিদের নিকট থেকে গম কিনছি। কৃষকদের হয়রানি করা হয় এবং ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে আমদানিকৃত গম কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর রকম কোনো সুযোগ এখানে নেই। যদি চাষিরা গম নিয়ে আসেন তবে আমরা অবশ্যই তা কিনে নিব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সভাপতি নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে খাদ্য ক্রয় করতে গুদাম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া আছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনার কোনো সুযোগ নেই। এখনো ট্রাক বোঝাই আমদানিকৃত গম গুদামের মধ্যে রয়েছে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply