অনলাইন ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ও তার স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলবের পর আরও ছয়জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল রোববার এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়ে।
চিঠিতে ওই ছয়জনের একক বা যৌথ নামে, অথবা তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক আমানত, যেকোনো স্থায়ী, চলতি ও ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সঞ্চয় থাকলে তার তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
ব্যাংক হিসাব তলব করা অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী মনিরা ইয়াসমিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইব্রাহিম হোসেন মুন এবং তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষদ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মামুন অর রশীদ ও স্ত্রী মাহফুজা আক্তার। এ খবর আমাদের সময় অনলাইন পোর্টাল থেকে পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ২৪ মে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে রাবির সাবেক উপাচার্য এম আবদুস সোবহান ও তার স্ত্রী মনোয়ারা সোবহান, ছেলে মুশফিক সোবহান, মেয়ে সানজানা সোবহান ও সানজানার স্বামী এ টি এম শাহেদ পারভেজের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
আগের চিঠিতে রাবির সাবেক উপাচার্যসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের একক বা যৌথ নামে অথবা তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক আমানত, যেকোনো স্থায়ী, চলতি ও ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনো ধরনের সঞ্চয় থাকলে তা আগামী ১ জুনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এনবিআরের চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। উল্লেখিত সময়ের আগের যদি কোনো হিসাব থাকে তাও সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে তার মেয়াদের শেষ দিনে অন্তত ৯ জন শিক্ষকসহ ১৩৮ জনকে ‘এডহক’ এ নিয়োগ প্রদান করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেদিনই ওই নিয়োগকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে ওই নিয়োগে আইন ভঙ্গের প্রমাণ পায় কমিটি এবং অধ্যাপক সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসন্ধানের সুপারিশ করে।
এর আগে উপাচার্য থাকাকালে নিয়ম ভঙ্গ করে তার মেয়ে ও জামাতাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.