শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্য

রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্য

রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্য
রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্য

ইফতেখার আলম বিশাল : রাজশাহী রয়্যাল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে ব্রেন টিউমার অপারেশন করতে গিয়ে কুলসুম (৩৮) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় রয়্যাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা: আফম মোমতাজুল হককে দায়ী করেছেন রোগীর স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে রয়্যল হাসপাতালের অপারেশন থেয়েটারে। এ ঘটনায় নিহত কুলসুমের স্বামীর বড়ভাই আব্দুল মালেক বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১৪ জুন সন্ধার দিকে কুলসুমকে ব্রেন টিউমার অপারেশনের জন্য রয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এ অপারেশনের জন্য তিনি ডা: মোমতাজুল হকের সাথে মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী অগ্রিম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়্যাল হাসপাতালের ক্যাশ কাউন্টারে জমা করেন। এছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা বাবদ ৩৭ হাজার, ওষুধ বাবদ ৮ হাজার ৮ শ’ টাকা ও রক্ত বাবদ ২ হাজার টাকা পরিশোধ করেন মালেক। এরপর ১৫জুন বিকাল ৩ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয় রোগীকে।

আব্দুল মালেক অভিযোগ করে বলেন, ৫ ঘন্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে রাত ৮টার দিকে ডা: মোমতাজুল হক বলেন, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে নিতে হবে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় রামেক হাসপাতারের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর স্বজনদের বলেন, রোগী ক্লিনিকেই মারা গেছেন। নিজেকে বাঁচাতে এবং দায় এড়ানোর জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মালেক আরও বলেন, অপারেশনের সময় রোগীর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। এছাড়া রোগী যন্ত্রনায় ছটফট করার কারণে তার হাত পা বেধে নাকে গজ দেয়া হয়েছিল বলেও জানান আব্দুল মালেক।

এ বিষয়ে জানতে ডা: মোমতাজুল হককে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়া তার সহকারী সার্জন সারওয়ার হোসেনকে ফোন দিলে তিনি ফোন কল কেটে দেন। রয়্যাল হাসপাতালের ম্যানেজার কাজেমুল হককে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।

এদিকে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী আব্দুল মালেককে চিকিৎসাপত্রসহ যাবতীয় পেপার্স নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। বিস্তারিত যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply