শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংকে ৩ যুগ চাকরি, অবসরের পর মামলা

মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংকে ৩ যুগ চাকরি, অবসরের পর মামলা

মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংকে ৩ যুগ চাকরি, অবসরের পর মামলা
মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া পরিচয়ে ব্যাংকে ৩ যুগ চাকরি, অবসরের পর মামলা

অনলাইন ডেস্ক: বয়সসীমা পার হয়ে যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় ব্যবহার করে চাকরি নেয়ার অভিযোগে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ফরেন রেমিট্যান্স ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ কুমার শর্মার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২২ জুন) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি প্রদীপ কুমার শর্মা (৬৫), ১৯৮৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন। সে সময় সাধারণ প্রার্থীর চাকরিতে যোগদানের সর্বোচ্চ বয়স সীমার উল্লেখ ছিল ২৭ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থীদের বয়স ছিল ৩০ বছর। অথচ ওই তারিখে তার বয়স ছিল ২৯ বছর চার মাস ২৯ দিন।

২০১৪ সালের ৩০ জুন প্রদীপ কুমার শর্মা চাকরি থেকে অবসর নেন। ২০১৯ সালে ২৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকায় প্রদীপ কুমার শর্মার নাম নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ রেজিস্টার, গেজেট, মুক্তিবার্তা (লালবই) ও ভারতীয় তালিকায়ও (কল্যাণ ট্রাস্ট) মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নেই তার। সাময়িক সনদের পরিবর্তে মূল সনদ সংগ্রহ করার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও প্রদীপ কুমার শর্মা তা সংগ্রহ করেননি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ১০ জুলাই ১৯৮৪ তারিখ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে বেতন বাবদ ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৪ টাকা; এছাড়া উৎসব বোনাস, উৎসাহ বোনাস, এক্সগ্রেসিয়া, কর্মচারী গৃহনির্মাণ ও কম্পিউটার ঋণসহ সর্বমোট ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে চাকরিজীবন শেষ করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মানমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছেন। এছাড়া জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে বেতন-ভাতা উত্তোলনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply