এসএম বিশাল: রাজশাহী জেলা পুলিশের ভাবমূর্তির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে করোনায় মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে। করোনার প্রভাব সমগ্রহ দেশে ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীসহ জেলা গুলিতে এক চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আর এ সময় সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় রাজশাহী জেলা পুলিশ।

রাজশাহীতে ব্যপক হারে করোনা মহামারি আকার ধারণ করায় সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে নেমে কাজ করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে যেমন হতে হয়েছে কঠোর, তেমনি মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজেন পাশে দাঁড়িয়েছে আক্রান্ত হওয়ার বা মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে।

করোনার শুরু থেকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকলেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্ভীক রাজশাহী জেলা পুলিশ। মানবিক এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের স্বজনরা। মারাও গেছেন অনেকে। করোনাকালে পুলিশের এ ভূমিকা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।

করোনাকালে পুলিশকে দেখা গেছে রোগীদের বাঁচাতে রক্ত দিচ্ছে, খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ভবঘুরে-ফুটপাতে-গরিবের কাছে, গর্ভবতীদের নিজেদের গাড়ি করে পৌঁছে দিচ্ছে হাসপাতালে, গরিব ও পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসছে চাল-ডাল। করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে রাজশাহী জেলার ৮টি থানায় প্রায় গরিব ও দুস্থদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধকল্পে রাজশাহীতে ঘোষিত লকডাউনের বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে চলেছে জেলা ট্রাফিক বিভাগের ও সংশ্লিষ্ট থানার টিমসমূহ।

ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে চেকপোস্ট এর কার্যক্রম জোরদারও করেছে তারা। এবিষয়ে রাজশাহী জেলার পুলিশের পক্ষ থেকে জেলার সকল নাগরীকদের উদ্দ্যোশে একটি বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে  আসুন আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করি, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকি ও সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ অনুসরণ করি।

মতিহার বার্তা / ইএবি