অনলাইন ডেস্ক: বরিশালের উজিরপুর থানায় রিমান্ডে নিয়ে হত্যা মামলার নারী আসামিকে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন, উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাইনুল ইসলাম।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নারী আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এর একদিন পরে তাদের প্রত্যাহার করা হলো।
গত শুক্রবার (২ জুলাই) শেবাচিমের পরিচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামির শারীরিক পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বাসুদেবের ভাই বরুণ চক্রবর্তীর উজিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাকে উজিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়ার পরপরই এক নারী পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। পরে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও তাকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং ২৯ জুন তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
আদালতকে ভুক্তভোগী নারী আসামি বলেন, এদিন তাকে মারধর না করা হলেও পরদিন সকালে তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কক্ষে পাঠানো হয়। তিনি তার ওপর যৌন নিপীড়ন চালান। এরপরে এক নারী পুলিশ সদস্যকে ডেকে নিয়ে তাকে আবার লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
এক পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিজেই তাকে ১৫-২০ মিনিট ধরে পেটান। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারান তিনি। জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পান।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগে পুলিশের এক কর্মকর্তা তাকে খুনের অপরাধ স্বীকার করতে বলেন।
আরও পড়ুন- রিমান্ডে নারী আসামিকে যৌন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ
বরিশালে রিমান্ডে নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.