শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
চীনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জন

চীনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জন

চীনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জন
চীনে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিনের হেনান প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন ১২ লাখের বেশি মানুষ।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হেনান প্রদেশের যেদিকে চোখ যায় কেবল পানি আর পানি। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, বিভিন্ন স্থাপনায় পানি ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, সড়কে নৌকা দিয়ে চলছে উদ্ধার তৎপরতা।

ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এ বন্যায় প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয়রা। বিভিন্ন অবকাঠামোসহ ধ্বংস হয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট। নেই বিদ্যুৎ। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে চলছে জোর চেষ্টা। উদ্ধার অভিযানে গতি বাড়াতে যোগ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বন্যায় সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে শিশু ও বয়ষ্ক ব্যক্তিরা। শিশুরা এর আগে এত ভয়াবহ বন্যা দেখেনি। বাড়িঘর ধসে পড়ছে। কখন কি হয় বলতে পারছি না। সব সম্পদ নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে কোনো খাবার নেই। ঘুমানোর মতো জায়গাও নাই। গত কয়েক দিন ধরে ছাদেই বসবাস করতে হচ্ছে। জানিনা, এভাবে আর কতদিন থাকতে হবে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চেষ্টার কমতি রাখছে না চীন সরকার। বন্যা দুর্গতদের সহায়তার পাশাপাশি অর্থনীতি ঢেলে সাজাতে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হেনান প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ উপ-পরিচালক লি চাংজুন বলেন, সামনে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। আমাদের আগেই সতর্ক হতে হবে। বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে। হেনান প্রদেশের সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, চীনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাই ও তার পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে রোববার (২৬ জুলাই) আঘাত হানতে যাচ্ছে টাইফুন ইন-ফা।

এতে সেখানকার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া পাতাল রেলের গতি কমিয়ে দেওয়া কিংবা যাত্রা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

চীনা আবহাওয়া অধিদফতরের বরাতে সম্প্রচারক সিসিটিভি বলছে, পূর্ব উপকূলীয় প্রদেশ ঝেজিয়াংয়ে বড় বন্দর ঝাউসানের পুটুয়া জেলায় স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ১২টায় আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর শক্তিশালী টাইফুন ধেয়ে আসছে চীনের দিকে। ১৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে টাইফুন ইন-ফার প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দেশটির হাংঝু প্রদেশের সব কটি ফ্লাইট বাতিল করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও শনিবার থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে ঝেজিয়াং প্রদেশের রেল চলাচল।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বহু মানুষ। টাইফুনটি বর্তমানে ঝেজিয়াং প্রদেশের ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে।
ইন-ফার প্রভাবে এরইমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

মতিহার বার্তা / এম জি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply