স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে চলছে ‘বিধিনিষেধ’ আর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে গত তিনদিন থেকে বিধিনিষেধ চললেও রাস্তায় মানুষের চলাচল বেড়েছে। বেড়েছে ব্যক্তিগত যানচলাচল ও অন্যনো যানবহন।
রোববার সকাল থেকেই রাজশাহী নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে টহলে ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সাথে নগরীর বাইরে কাঁটাখালি, বেলপুকুর, কাঁশিয়াডাঙ্গা, আমচত্বর, বানেশ্বর, পুঠিয়া এলাকায় বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। বাইরে বের হওয়া মানুষ পড়ছেন পুলিশের জেরার মুখে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে চলাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে কাঁচা বাজার ও রাস্তায় মানুষের চলাচল অনেক বেশি। অনেক ব্যবসায়ী দোকানের অর্দ্ধেক সাঁটার খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
নগরীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে গিয়েও দেখা যায়, অনেকে মাস্ক পরছে না আবার পকেটে মাস্ক রেখে ঘরছে। প্রশাসন ও পুলিশের সদস্যদের দেখলে তড়িঘড়ি করে মাস্ক পরে নিচ্ছে। সাহেববাজার ও মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায় মানুষের ভিড়। রাস্তায় স্বাস্থ্যবিধি মানলেও কাঁচাবাজারে ঢুকেই মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছে না।
এদিকে রাজশাহী নগরী ও জেলায় জরুরি সেবাসমূহ চালু রয়েছে আগের মতোই। রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ ও খাবার পরিবহণের যানবাহনগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে।
এদিকে নগরী ও উপজেলাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে জেলাতে র্যাব-৫ এর ৫টি টিম, ও ৬টি জেলায় প্রতিদিন ৩০টিম কাজ করছে। এছাড়াও জেলায় সেনা বাহিনির তিন প্লাটুন, বিজিবির তিন প্লাটুন, ও আনসার সদস্যদের তিন প্লাটুন টিম কাজ করছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলায় ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম কাজ করছে। নগরীতে ৪টি, উপজেলাগুলোতে ১৮টি টিম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
নগরীর চারটি প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। চারটি প্রবেশমুখ বেলপুকুর, আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাঁটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পয়েন্ট মানুষ ও যানবাহনের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে কড়া বিধিনেষেধ চলছে। পণ্যবাহী পরিবহণ, পিকআপ ভ্যান ও মালবাহী ট্রাক ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন জেলা থেকে নগরীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.