অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা রাজিয়া আক্তার (২৪)। তবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রেমিক সুমন হোসেন।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে ধামরাইয়ের কাওয়ালীপাড়া গ্রামের মাঝি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত সাত বছর ধরে সুমন হোসেন ও রাজিয়া আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন রাজিয়ার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। রাজিয়া সুমনকে বিয়ের কথা বললেই সুমন বলত আমার বড় ভাই এখনো বিয়ে করেনি। বড় ভাই বিয়ে করার পরই আমি তোমাকে বিয়ে করবো।
গত শনিবার রাতে রাজিয়াকে ফোন করে সুমন তার রুমে যায়। পরে ভোর রাতে রাজিয়ার পরিবার সুমনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সুমন ও রাজিয়াকে ওই রুমে আটকে সুমনের পরিবারকে খবর দেয়া হয়। পরে সুমনের বড় ভাই শামীম হোসেন ঘটনাস্থলে এসে কৌশলে সুমনকে পালাতে সাহায্য করে এবং রাজিয়াকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘটনা এখানেই ধামাচাপা দিতে বলেন। এতে রাজিয়া রাজি না হলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় সুমনের বড় ভাই শামীম হোসেন।
ভুক্তভোগী রাজিয়া আক্তার জানান, ২০১৪ সাল থেকে সুমনের সাথে আমার প্রেম শুরু হয়। এর মধ্যে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাগায় ঘুরতে গিয়েছি। সুমন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে সুমন আমার রুমে আসে তখনও আমাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।
পরে ভোর রাতের দিকে আমার পরিবার সুমনের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমাদের রুমে আটকিয়ে রাখে। পরে সুমনের বড় ভাই শামীমকে খবর দিলে সে এসে কৌশলে সুমনকে পালাতে সাহায্য করে এবং আমাকে বলে তোমাকে ২০ হাজার টাকা দিবো।
তিনি আরও বলেন, তুমি এই ঘটনা এখানেই ভুলে যাবে। পরে আমি এতে রাজি না হয়ে বিয়ের কথা বলাতে শামীম আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে বেশি বারাবাড়ি করলে তোকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবো। পরে শুক্রবার সকালে আমি সুমনের বাড়িতে উঠছি বিয়ের দাবিতে। আমি আসার পর বাড়ির সবাই বাড়ি থেকে বের হইয়ে গেছে। শুধু সুমনের বাবা আছে।
অভিযুক্ত সুমনের বাবা আলতাফ হোসেন জানান, আমার ছেলেরা বাড়িতে নাই। আমাকে বেশি কিছু বললে আমি স্ট্রোক করে মারা যাবো।
আরও পড়ুন : দৌলতপুরে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ
এবিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক রাছেল মোল্লা জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম। ছেলে-মেয়ে দুজনই প্রাপ্ত বয়স্ক। কিন্তু মেয়ে এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.