শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
ঈশ্বরদী জংশন – পাকশী “পাইলট” রেলপথ

ঈশ্বরদী জংশন – পাকশী “পাইলট” রেলপথ

ঈশ্বরদী জংশন - পাকশী "পাইলট" রেলপথ
ঈশ্বরদী জংশন - পাকশী "পাইলট" রেলপথ

স্টাফ রিপোর্টার: ১৯১৫ সালে পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ স্থাপনের কিছু সময় পর তৎকালীন সাঁড়াঘাটের বরফকল থেকে বরফ পরিবহন করার সুবিধার্থে তৎকালীন ব্রিটিশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রথমে ঈশ্বরদী জংশন থেকে কিছুটা পশ্চিমদিক দিয়ে এই ব্রডগেজ রেলপথটি নির্মাণ করে।

পরবর্তীতে পাকশীতে অবস্থিত রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত সেই সময়কার রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যাতায়াতের প্রয়োজনে ও সুবিধার্থে এই রেলপথটি দিয়ে ‘পাইলট’ নামে একটি ট্রেন চালু করা হয়।

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তৎকালীন সরকার এই পাইলট ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় । তারপর থেকে এই রেলপথে শুধু রেলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের মোটর ট্রলি চলাচল করত তাও মাঝে মধ্যে । আর কোন ধরনের রেলযানই চলাচল করেনি এই পথটি দিয়ে।

দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার পর অবশেষে এই রেলপথটি নতুন করে, নতুন রূপে আবারও ফিরে পেয়েছে তার হারানো ঐতিহ্য ও চেহারা ।। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের সাথেই রূপপুরে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করেই মূলত চালু করা হয়েছে এই পুরনো সেকশনটি ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র পরিবহনের জন্যই মূলত এই রেলপথটি আবারও ফিরে এল দেশের রেল নেটওয়ার্কে । আর সেজন্য এইবার ঈশ্বরদী জংশন থেকে নয়, ঈশ্বরদী বাইপাস থেকে প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত বসানো হয়েছে ডুয়েলগেজ রেললাইন ।

ভারতের জিপিটি এবং বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিসিএল যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ডুয়েলগেজ রেলপথটি তৈরি হয়েছে । এই প্রকল্পের আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ২৭ কিলোমিটার নতুন রেললাইন বসানো হয়েছে । এর মধ্যে প্রায় ২৩ কিলোমিটার হল মূল লাইন, আর প্রায় ৪ কিলোমিটার হল লুপ লাইন ।

এছাড়া এই পথে ১৩ টি লেভেল ক্রসিং গেট, একটি ‘বি’ ক্লাস স্টেশন ভবন, একটি প্ল্যাটফর্ম এবং সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে । সামগ্রিক পুরো প্রকল্পের কাজ প্রায় অনেকটাই শেষের পথে ।

উল্লেখ্য, এই “বি” ক্লাস স্টেশনটি নির্মাণ করা হয়েছে পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচেই, বলতে গেলে, ব্রিজের গা ঘেঁষেই এই স্টেশনটি অবস্থিত । পাকশী স্টেশন থেকে এই স্টেশনটি স্পষ্ট দেখা যায় । এই পথ ধরেই মূল রেললাইনটি প্রবেশ করতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকার অভ্যন্তরে ।। তবে খুব সম্ভবত এই পথে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে না । শুধুমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ট্রেনগুলোই চলাচল করবে এই পথে ।

এই বিকল্প রেলপথটি চালুর ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগামী ট্রেনগুলো চলাচলের কারনে মূল ঈশ্বরদী বাইপাস – ঈশ্বরদী জংশন – পাকশী – হার্ডিঞ্জ ব্রিজ সেকশনে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন কিংবা বিসি বা বিটিও চলাচলে কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটবে না।
শতাধিক বছরের পুরাতন এই রেলপথটিকে পুনরুজ্জীবিত করে তাকে আবারও ট্রেন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার এই মহতী উদ্যোগ নেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply