শিরোনাম :
ফ্রিজ়ে রাখা দুধ গরম করলেই ছানা হয়ে যায়! ফেলে না দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নতুন ৫ খাবার গোপন করেছিলেন বিয়ে, প্রেমে পড়েছিলেন সহ-অভিনেত্রীর, বহুকামিতা নিয়ে প্রচারে থাকেন বলি নায়িকা ‘আল্লার কাছে পাঠিয়ে দেব’, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্ডোগানের বার্তা রাশিয়ার পরে এ বার আইএসের হানা গৃহযুদ্ধ দীর্ণ সিরিয়ায়, বিস্ফোরণ, গুলিতে নিহত অন্তত ১১ রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় মৃত ৬ বিশ্বসুন্দরীমঞ্চে এই প্রথম মুসলিমবিশ্বের প্রতিনিধি… দেখে নিন আপনি বুদ্ধিমান কী না! দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু কাজে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
বেপরোয়া বোয়ালিয়া থানা এলাকার মাদক কারবারিরা, নিরব প্রশাসন

বেপরোয়া বোয়ালিয়া থানা এলাকার মাদক কারবারিরা, নিরব প্রশাসন

বেপরোয়া বোয়ালিয়া থানা এলাকার মাদক কারবারিরা, নিরব প্রশাসন
বেপরোয়া বোয়ালিয়া থানা এলাকার মাদক কারবারিরা, নিরব প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর পঞ্চবটি, খরবোনা, কেদুর মোড়, হাদির মোড় শহীদ মিনার ও তালাইমারী এলাকা মাদকের স্বর্গরাজ্য পরিনত হয়েছে। এসব এলাকায় হাত বাড়ালেই মেলে হেরোইন, প্যাথেডিন, ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিল। ২৪ ঘন্টাই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক সেবিরা আসে এইসকল এলাকায়।

কেউ নদীর পাড়েই বসে মাদক সেবন করে। আবার কেউ কেউ মাদক ক্রয় করে নিজ গন্তব্যে চলে যায়। আর এই মাদক বিক্রির কাজে অল্প বয়সি তরুণদের ব্যবহার করছে মাদক কারবারীরা। তরুণদের কাজ হলো শহররক্ষা বাঁধের উপর মোবাইল হাতে পাহারা দেয়া, মাদকসেবিদের মাদক কারবারীর বাড়ি দেখিয়ে দেয়া। আর পুলিশ আসলে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে মাদক কারবারীদের সাবধান করা। এ ভাবেই চলছে যুগ যুগ ধরে তাদের মাদকের কারবার। এই কাজের জন্য তরুণরা যা পাচ্ছে তা হলো ফ্রিতে মাদক সেবন আর হাত খরচের জন্য সামান্য কিছু নগদ টাকা।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে স্থানীয় একাধিক যুবক জানায়, আমাদের পঞ্চবটি এলাকায় প্রকাশ্যে মাদকের কারবার চালাচ্ছে মুন্নি, কাননী, রিনা ও তার স্বামী সনেট, চুন্নুর ছেলে শাকিল, তসলিমা। এরা দিন রাত হেরোইন ইয়াবা গাঁজা ও ফেনসিডিল বিক্রি করে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে না। মাদককারবারীদের সাথে অনেক পুলিশ কথাও বলে। আর মাদক কারবারীদের কাছে মাদক কিনে যাওয়ার পথে মাদকাশক্তদের ধরে মামলা দেয়।

তারা আরও বলেন, মাদকাশক্তদের ধরে প্রশ্ন করলেই তো জানা যায় কার কাছে কিনলো মাদক। কিন্তু এমন কাজ পুলিশ করেনা। তাই এই এলাকা নোংড়াই থেকে গেলো। উঠতি বয়সি তরুণদের শতকরা ৯০ভাগই মাদকাশক্ত হয়ে পড়েছে।

একই চিত্র খরবোনা এলাকার: সেখানে রয়েছে মাদক কারবারী সিরাজুল-নাজমা দম্পত্তীর হেরোইন ও ইয়াবার কারবার, ডলি, নাদের-রোকশানা দম্পত্তী(গাঁজার পাইকারী ও খুচরা কারবার) আরমান ও জারমান দুই ভাই সকল মাদকের পাইকারী কারবারী, ডালিম পাইকারী মাদক কারবারী, নবাব-শাহানা দম্পত্তী হেরোইন, গাঁজা, রাকিব-লাবনী দম্পত্তী, ফেনসিডিল ও প্যাথেডিন, আরাফাত গাঁজা ব্যবসায়ী। তবে সে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও শহর রক্ষা বাঁধের উপর ভাংড়ির ব্যবসার আড়ালে মাদকের রমরমা কারবার চালাচ্ছে মাসুদা ও তার দুই ছেলে ইমু ও নাদু। পিছিয়ে নেই নারী মাদক সেলিনা। এরা আবার সরাসরি কক্সবাজার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে রাজশাহীতে। বিক্রি করে পাইকারী ও খুচরা।

কেদুড় মোড় এলাকার মাদক কারবারী তসলিমা ও তার জামাই ড্যানির একক রাজত্ব। বিক্রি করে গাঁজা, ফেনসিডিল ও মরন নেশা ইয়াবা ট্যাবলেট।

হাদির মোড় নদীর পাড় এলাকায় রয়েছে, মফি, বাদশা, সাদ্দাম, সুইট এরা নতুন হেরোইন কারবারী। এদিকে, তালাইমারী ২৫ নং ওয়ার্ডে টিপুর ছেলে শামীমের হেরোইন কারবারে তার একক রাজত্ব। স্থানীয়রা বলছে, প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরে থেকেই চলছে শামীমের হেরোইনের রমরমা কারবার।

সরেজমিন থেকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে যে সকল মাদক কারবারীদের নাম উল্লেখ করা করা হলো তারা প্রত্যেকেই একাধিক মাদক মামলার আসামী এবং নিজ নিজ এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী। অথচো বোসপাড়া ফাঁড়ীর খুব কাছাকাছি স্থানে এসকল মাদক কারবারীদের অবস্থান ও বাসস্থান! এদের মাদক কারবার বন্ধ না হলে তরুণ ও যুবকরা ধ্বংসের দারপ্রান্তে বলেও জানায় স্থানীয়রা।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় রাজশাহী নগরীর পঞ্চবটি এলাকার মাদক সম্রজ্ঞী কানোনীকে ছেড়ে রাজা (৪০) নামের এক রিকসা চালককে আটক করে মালোপাড়া ফাঁড়ির দুই কন্সটেবল।

স্থানীয়রা আটক রিক্সাচালকের বরাত দিয়ে জানান, পুলিশের হাতে আটক মাদকসেবী রিক্সাচালক বারং বার বলেন- আমাকে একা কেন ধরছেন! ওই যে ওই খানে মাদক বিক্রেতা কানোনীর বাড়ি। তার কাছে গেলেই অনেক মাল পাবেন। তাকেও ধরেন। আমি তো শুধু খাওয়ার জন্য সামান্য গাঁজা কিনেছি। কিন্তু তারপরও আতিক ও সুমন নামের দুই কন্সটেবল তার কথা না শুনে তাকে টেনেহিচড়ে বাইকের ওপর বসিয়ে নিয়ে যান।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, মালোপাড়া পুলিশ ফাড়ির কন্সটেবল বোসপাড়া ফাঁড়ি এলাকায় কেন, বোয়ালিয়া থানা এলাকার যে কোন স্থানে মাদক সেবনকারী ও মাদক কারবারী পুলিশ যেখানেই মাদক পাবে, সেখানেই যেতে পারবে। তবে মাদক কারবারীকেও ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply