স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানরীর জামালপুরে সাধারন যুবকদের মাদক কারবারী বলে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় রুবেল ও জুথি নামের এক গৃহবধূ জানায়, গত (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন ভদ্রা জামালপুর এলাকায় মিঠু নামের এক যুবলীগ কর্মীর উদ্দ্যোগে খিচুড়ি রান্না করা হয়। পরে সেই খিচুড়ি হতদরিদ্র ও সাধারন মানুষের মাঝে বিতরন করা হয়। তবে ওই এলাকার নাহিদ, সাদ্দাম, জহরুল ও মাসুদসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের এই কর্মসূচি থেকে বিরত রাখে মিঠু ও তার সহকর্মীরা।

এতে প্রতিপক্ষরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই এলাকার সোহাগ, আশিক ও তার পরিবারের লোকজনকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেই দিনই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুব্বিদের হস্তক্ষেপে তা থেমে যায়।

পরের দিন (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ৯টার দিকে পূণরায় প্রতিপক্ষরা যুবলীগ কর্মী সোহাগ ও আশিকের উপর দেশীয় অস্ত্র হাতে দলবদ্ধ ভাবে হামলা করে। এ সময় তারা পালিয়ে প্রানে রক্ষা পায়।

পরে বিষয়টি সকলের মধ্যে জানাজানি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময় দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে নাহিদ, সাদ্দাম ও জহরুলরা যুবলীগকর্মী আশিক ও সোহাগের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা রামদা, হাসুয়া দিয়ে আশিক ও সোহাগের বাড়ির টিন কেটে টুকরা টুকরা করে। একই সময় তাদের পরিবারের নারী ও বাচ্চাদের মারতে অস্ত্র হাতে ধাওয়া দেয় জহরুলরা।

হামলা চলাকালীন সময় মিঠুর সহযোগী অপু (২৫) নামের এক যুবকের মাথায় হাসুয়া দ্বারা আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ও যুবলীগকর্মী সোহাগের পিতা আইনাল হক (৪৫) কে পায়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুম মনির জানান, জামালপুর এলাকায় খিচুরি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। তবে উভয় পক্ষের একে অপরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বাড়ি ঘরে কুপিয়ে লন্ড ভন্ড করে। এছাড়াও উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ওসি আরো বলেন, ভুক্তভোগীরা থানায় এসে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি