শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
বাঘায় গৃহবধুর জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়ায় থানায় অভিযোগ

বাঘায় গৃহবধুর জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়ায় থানায় অভিযোগ

বাঘায় গৃহবধুর জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়ায় থানায় অভিযোগ
বাঘায় গৃহবধুর জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়ায় থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘায় আকলিমা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধূর থেকে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার (৩০ আগস্ট ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বাউসা ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভুগী গৃহবধূ বাদি হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে সোমবার সন্ধায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সে উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার মৃত: জমির উদ্দিনের মেয়ে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাউসা মাঝপাড়া এলাকার মৃত: নাসির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান ( ৪০ ) এর সঙ্গে এক বছর পুর্বে আকলিমার বিবাহ হয়। বিয়ের পরে আকলিমা জানতে পারে, তার স্বামী মাদকাসক্ত। তাই বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে মাদকমুক্ত করতে আকলিমা আপ্রাণ চেষ্টা করেন । এ নিয়ে স্বামীর বড়ভাই (ভাসুর) জাহিদুল ইসলামের সঙ্গেও বিভিন্ন আলাপ আলোচনা করেন, কিভাবে স্বামী হাফিজুরকে মাদকমুক্ত করা যায়। সর্বশেষ গতকাল সোমবার (৩০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে দশটায় জাহিদুল আকলিমাকে বলে, তোমার স্বামীকে ভালো করতে হলে ইউপি কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দিতে হবে। সে কৌশলে আকলিমাকে বাউসা ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক আকলিমার নিকট থেকে তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এ সময় আকলিমা তার বড় ভাইকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানানোর চেষ্টা করলে তার নিকট থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে এ ঘটনায় আকলিমা বাদি হয়ে ভাসুর জাহিদুল ইসলাম, বাউসা ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, খালু হাকিম আলী, ও কাজী লায়েব উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আকলিমার ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, তারা জোরপূর্বক বোনকে দিয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করে নিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘিত কর্মকান্ড খুবই দুঃখজনক। আমরা এর সু-বিচার চাই।

অভিযুক্ত জাহিদ বলেন, আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রী একে অপর কে যৌথ তালাক দিয়েছে । এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিষয়টা আমরা দুই একদিন পর বসে সমাধান করব।

এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জাহিদ করেছে। সেই ভালো বলতে পারবে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply