শিরোনাম :
তরমুজ শুধু খেলে হবে না, গরমে মাখতেও পারেন লজ্জা ঢাকতে শেষমেশ গদি জড়িয়ে ছুটলেন উরফি! ভিডিয়ো ফাঁস হতেই চার দিকে শুরু শোরগোল কাফতান পরা মানেই কি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে সিলমোহর? প্রশ্ন তুললেন পরিণীতি চোপড়া অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন! তানোর ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা, তোলপাড় তরুণী সন্ধ্যা রানী হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন; সৎ ভাই ও তার বন্ধু গ্রেফতার রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল- ২০২৪ রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২১ মহানগরীর ছোটবনগ্রামে লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা, প্রতারক তাওহীদ খান আটক নৌবাহিনীর প্রধানের সাথে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
নৌকায় নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছড়িয়ে দেওয়া হলো ভিডিও

নৌকায় নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছড়িয়ে দেওয়া হলো ভিডিও

নৌকায় নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছড়িয়ে দেওয়া হলো ভিডিও
নৌকায় নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছড়িয়ে দেওয়া হলো ভিডিও

অনলাইন ডেস্ক: হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে স্বামীর সঙ্গে নৌ-ভ্রমণে যাওয়া এক নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও এর ভিডিও ধারণের ঘটনা ঘটেছে। এরপর টাকা দাবি করে না পাওয়ায় ওই ভিডিও এলাকার যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার ছয়দিন পর বৃহস্পতিবার নববধূর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর করতে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামি হলো- লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২০), রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)। এদের সোলায়মান রনি উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এ ঘটনায় তিন আসামি রনি, মিঠু ও রাজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি র‌্যাব। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুল ইসলাম।

তিনি জানান, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের ওই হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন। সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের ৮ যুবক তাদের নৌকার গতিরোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। এরপর তার স্ত্রীকে পাশের নৌকায় তুলে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন রেখেছিলেন তিনি।

ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী। টাকা না দেওয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply