অনলাইন ডেস্ক: আফগানিস্তানে সম্প্রতি নতুন সরকার ঘোষণা করেছে তালেবান। কিন্তু এতে ঠাঁই হয়নি কোনো নারীর। এ নিয়ে রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেছেন নারী অধিকারকর্মীরা। মন্ত্রিসভায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে ঠিক কী ভাবছে তালেবান, তারা কেন নারীদের মন্ত্রী করতে চায় না- এ নিয়ে প্রায় সারা বিশ্বেই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশেষে বিষয়টি কিছুটা ব্যাখ্যা করলেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এক মুখপাত্র। তার মতে, মন্ত্রী হওয়া নারীর কাজ নয়, তারা এই দায়িত্ব সামলাতে অক্ষম।
সম্প্রতি আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের এক অনুষ্ঠানে তালেবান মুখপাত্র সৈয়দ জেকরুল্লাহ হাশিমির ওই মন্তব্য ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হাশিমি টোলো নিউউজের অনুষ্ঠান সঞ্চালককে বলছেন, মন্ত্রিসভায় নারীদের থাকাটা জরুরি নয়। তখন সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, কেন জরুরি নয়? জবাবে হাশিমি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, কেন জরুরি, বলুন আমাকে?
সঞ্চালক বলেন, নারীরা কি সমাজের অর্ধেক নয়? জবাবে তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমরা তাদের (সমাজের) অর্ধেক মনে করি না। কী ধরনের অর্ধেক? অর্ধেক শব্দটাই এখানে ভুলভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। এখানে অর্ধেক মানে তাদের (নারীদের) আপনি মন্ত্রিসভায় রাখলেন এবং আর কিছুই করলেন না। আপনি তাদের অধিকার লঙ্ঘন করলেও সেটি কোনো ইস্যু না।
উদাহরণ হিসেবে হাশিমি বলেন, ২০ বছর ধরে এই মিডিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানে তাদের পুতুল সরকার যা বলেছে, তা কি অফিসে পতিতাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু ছিল? এসময় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তাকে আটকে দিয়ে বলেন, আপনি সব নারীর বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ তুলতে পারেন না।
তখন তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমি বলিনি সব আফগান নারী। রাস্তায় যে চার নারী বিক্ষোভ করছেন, তারা আফগানিস্তানের সব নারীর প্রতিনিধিত্ব করেন না। আফগান নারী তারাই, যারা আফগানিস্তানের মানুষদের জন্ম দিয়েছেন, তাদের শিক্ষা দিয়েছেন, ইসলামী নৈতিকতা শিখিয়েছেন।
সময় সঞ্চালক আবারও তাকে প্রশ্ন করেন, নারীরা মন্ত্রী হওয়ায় খারাপ কী? জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে হাশিমি বলেন, এটি হতে হবে কেন? সঞ্চালক বলেন, হবে না কেন?
জবাবে তালেবান মুখপাত্র বলেন, আমি বলছি কেন হবে না। একজন নারী মন্ত্রণালয়ের কাজ করতে পারবেন না। আপনি তার ঘাড়ে এমন কিছু তুলে দিচ্ছেন, যা তিনি বহন করতে পারবেন না।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.