স্টাফ রিপোর্টার : ”জীববৈচিত্র সংরক্ষণ জোট” -এর উদ্যোগে “রাজশাহীতে পাখি, জলাশয়, গাছ ইত্যাদি সকলধরনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে এবং অবৈধভাবে ভরাটকৃত জলাধারে ভবন নির্মানে রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (আরডিএ)- এর অনুমোদন দেয়া যাবেনা” এই দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, জিরো পয়েন্টেে এ মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও পথসভায় সভাপত্বি করেন সভাপতিত্ব করেন জোটের আহ্বায়ক ডাঃ মাহফুজুর রহমান রাজ এর অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের সদস্য সচিব জনাব রেজাউল করিম মহব্বত ।
মানববন্ধন ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন খেলাঘরের সেলিম মনোয়ার। সভাটি পরিচালনা করেন জোটের তারুণ্যের শক্তির সদস্য সচিব জনাব রায়হান হালিম। সূচনা বক্তব্য দেন বিশিষ্ট হকি খেলোয়াড় জনাব তাহেরুল। জোটের পক্ষে আরও বক্তব্য দেন , সামাজিক ন্যায়বিচারের আহবায়ক জনাব মাহবুব জামান তপন ও সদস্য সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবলা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট নারী নেত্রী উত্তর বংগ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ লাইজু, মহানগর বংগবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জনাব এজাজ আহমেদ পিন্টু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের নেতা জনাব রকি ইসলাম, সাদেকুল আলম, বিপুল রহমান ও নাগরিক প্সরতিনিধি চপলসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ।
বক্তারা রাজশাহীতে পাখি, জলাশয়, গাছ ইত্যাদি সকলধরনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং অবৈধভাবে ভরাটকৃত জলাধারে ভবন নির্মানে রাজশাহী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (আরডিএ)- এর অনুমোদন না দেয়ার পক্ষে মতামত প্রদান করেন। একইসাথে ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে এর পক্ষে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য রাজশাহীবাসীকে অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও রক্ষার জন্য সামাজিক সচেতনতা তৈরী ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাই জীববৈচিত্র সংরক্ষণ জোটের উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সামাজিক ন্যায় বিচার, স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্র ও তারুন্যের শক্তি এই তিনটি সমমনা সামাজিক সংগঠন নিয়েই প্রাথমিকভাবে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ জোট তৈরী করে যাত্রা শুরু করা হয়েছে।
এই জোট মুলত সকল শ্রেনীপেশার সুশীল ও নাগরিক সমাজ প্রতিনিধিদের সংগঠিত করে জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও রক্ষার জন্য সামাজিক সচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং পরবর্তীতে সাধারন জনগনকে সম্পৃক্ত করে মাইক্রো, মেসো ও ম্যাক্রো প্রয়োজনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এডভোকেসি, লবি ও নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে লক্ষ অর্জন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান রাখবে। ভবিষ্যৎ এ জোটের শরীক সহযোগী সংগঠন আরো বৃদ্ধি করা যেতে পারে প্রয়োজন ও আলোচনা সাপেক্ষে।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.