অনলাইন ডেস্ক: আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সরকারি হাইকমিশনের সহকারী হাই কমিশনার মোহাম্মাদ জোবায়ের হোসেন সোমবার আমাদের নতুন সময়কে জানিয়েছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচলের বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা অবলম্বন করেছে উভয়দেশ।
তিনি জানান, দু’দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচলের জন্য এখন বাংলাদেশি অথবা বিদেশি নাগরিক সুরক্ষা সেবা বিভাগ অথবা বাংলাদেশ মিশনগুলোর অনাপত্তিপত্রের প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে চলাচলের সময় যে বিষয়গুলো কঠোরভাবে মানতে হবে, সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সব বাংলাদেশি এবং বিদেশি নাগরিক আবশ্যিকভাবে ৭২ ঘণ্টা মেয়াদি কোভিড-১৯ এর আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। রিপোর্ট আবশ্যই যাচাইযোগ্য কিউআর কোড যুক্ত হতে হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, ‘পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যাত্রী যাতায়াতের নতুন নির্দেশনা পত্র তিনি হাতে পেয়েছেন। এবং বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটি পিসিআরের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলে ভারত গমন ও ভারত থেকে ফেরা যাচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘শর্ত শিথিলে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। বর্তমানে মেডিকেল, বিজনেস ও স্টুডেন্ট ভিসায় যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা এখনো বন্ধ রয়েছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যারা ভারত থেকে ফিরেছেন সবাইকে নিজেদের বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
শ্রীনগরে মুমুর্ষ রোগীদের জন্য অক্সিজেন ব্যাংক ≣ [১] কোপা আমেরিকার হাইভোল্টেজ ম্যাচে শনিবার ভোরে ব্রাজিলের মুখোমুখি চিলি ≣ রোদে জ্বলে যাওয়া ত্বক ঠিক করবেন যেভাবে
জানাগেছে, দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্নকারী দেশি অথবা বিদেশি যাত্রী টিকা সম্পন্ন করার পর স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে টিকা কার্ড বা উপযুক্ত প্রমাণ এবং আরটি-পিসিআর নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন করে সরাসরি নিজ গন্তব্যে যাত্রা ও অবস্থান করতে পারবেন। তারা হোম কোয়ারেন্টিনের আওতামুক্ত থাকবেন তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করবেন।
টিকা সম্পন্ন না হলে ৭২ ঘণ্টা মেয়াদি আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত বিধি অনুসরণ করে বাংলাদেশে প্রবেশের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের নিজ খরচে আরটি-পিসিআর রেপিড এন্টিজেন টেস্ট সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। টেস্টের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে তাদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিম সিদ্ধান্ত নেবে। টেস্টের ফলাফল আসা পর্যন্ত ওই ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.