অনলাইন ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গত ১৫ অক্টোবর ধর্ষণের শিকার হয়। তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ১৭ অক্টোবর ইসলামপুর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে আনোয়ারুল ইসলামের (২৮) বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, অভিযুক্তের বোনের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ওইদিন মেয়েটি তার বন্ধুর বাড়িতে গেলে বোন ঘরে আছে বলে অভিযুক্ত আনোয়ার তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। কেউ যেন কিছু বুঝে উঠতে না পারে সে কারণে টিভি চালিয়ে শব্দ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিবস্ত্র করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছবি তোলা হয়। বিষয়টি কাউকে জানালে কিংবা মামলা করলে এ ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে মেয়েটির চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করা হয়।
মেয়েটির পরিবার জানায়, ঘটনার পর থেকে ওই স্কুলছাত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার আচার-আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করেন পরিবারের সদস্যরা। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন তাকে বেশি সময় দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এমন একটি ঘটনা ভোলাতে তাকে বেশি বেশি করে গল্প-আড্ডার মধ্যে রাখা হচ্ছে।
মেয়েটির বড় ভাই জানান, পুলিশ এখনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এখন আবার আসামির পক্ষ থেকে বাড়িতে প্রায়ই লোকজন পাঠানো হচ্ছে। কেউ নানাভাবে হুমকি দিয়ে কথা বলছে, আবার কেউ বুঝিয়ে শুনিয়ে বলছে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করার জন্য। কিন্তু আমাদের পরিবার এ ঘটনার বিচার চায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে বিবাদী পক্ষ থেকে কোনো চাপের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.