স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবসম্পদসহ সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তানকে আমরা অনেক আগেই পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছি। এসব ক্ষেত্রে এমনকি ভারতকেও আমরা পেছনে ফেলেছি। সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক খাত করোনা মহামারিতে ধস নেমেছে। শুধু ২০টি দেশ এগিয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। নেতৃত্বের কারণে সারাবিশ্বে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসিত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ এক মাস ধরে মিটিং করে বিএনপি সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা করে। প্রকাশে তারা মিটিং করেছে আর গোপনে ষড়যন্ত্র করেছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হল সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করা, পবিত্র কোরআন পুজামন্ডপে রেখে আসা এবং বিভিন্ন পুজামন্ডপে হামলা করা।
তিনি বলেন, যে পুজামন্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে এসেছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু সে তো রেখে আসেনি। তাকে দিয়ে রেখে আসানো হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সারাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার জন্য বিএনপি জামায়াতসহ উগ্রবাদী সংগঠন সবসময় তৎপর থাকে। দুর্র্গাপুজাকে তারা বেছে নিয়ে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করেছিল। আমরা আগেই সেটি বুঝতে পেরেছিলাম। সে জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পুজামন্ডপ পাহাড়া দিতে বলা হয়েছিল। তারা পাহারা দিয়েছে বলে বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে হামলা করতে পারেনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৬০০ ডলার। আজকের হিসেবে তা অন্তত চারগুণ বেড়েছে। এটা সবার পছন্দ হয়না। তাই নানা রকম ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত। গুজব রটিয়ে হত্যাকা- ঘটাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে পদ্মাসেতুতে নরবলি দেয়ার গুজব রটিয়ে বেশ কয়েকজন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপি-জামাত চক্রই এইসব গুজব রটিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, তুরস্ক, ফিলিস্তিনসহ সারাবিশ্বে ভাস্কর্য আছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গুজবের সমালোচনা করে মন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাকসিন নিয়েও গুজব রটায়। পরে মির্জা ফখরুল থেকে শুরু করে সবাই ভ্যাকসিন নেয়। কেউ কেউ গোপনেও ভ্যাকসিন নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংকটের মাঝেও ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছেন। অন্তত ২ কোটি মানুষ ২ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। ঘনবসতি পূর্ণ এই দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ সহজ কথা নয়। প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় এবং আল্লাহর রহমতে তা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।
এর আগে সকালে তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাজশাহী উপকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা রাজশাহীতে টেলিভিশন কেন্দ্র চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এটি যত দ্রুত সম্ভব করা হবে। আগামী নির্বাচনের আগে রাজশাহীতে টেলিভিশন কেন্দ্র চালু করতে পারব বলে আমরা আশা করি।
এর আগে আকাশপথে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরে পৌঁছান তথ্যমন্ত্রী। দুপুরের পর তিনি সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্দেশ্যে রাজশাহী ত্যাগ করেন। বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নিতে সোনামসজিদ সীমান্ত হয়ে ভারতে যাবেন তথ্যমন্ত্রী।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.