স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সেই আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর এ দানবাক্স খুললেও করোনার কারণে এবারো চার মাস ১৭ দিন পর খোলা হয়েছে। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তাফা। টাকা গণনা করছেন পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের শতাধিক শিক্ষার্থী ও রুপালি ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এর আগে, ১৯ জুন এসব দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। একই সঙ্গে মেলে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
জানা গেছে, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির উপস্থিতিতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্স খুলে প্রথমে টাকাগুলো বস্তায় ভরে গণনার জন্য আনা হয়েছে।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এ মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.