শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
রাজশাহীতে অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা চালকদের নির্ধারিত পোশাক

রাজশাহীতে অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা চালকদের নির্ধারিত পোশাক

রাজশাহীতে অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা চালকদের নির্ধারিত পোশাক
রাজশাহীতে অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা চালকদের নির্ধারিত পোশাক

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্মার্ট অটোরিক্সা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় মহানগরীতে চলাচলরত অটোরিক্সা ও চার্জাররিক্সা চালকদের নির্ধারিত পোশাক ও একই রঙের চার্জার রিক্সার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মেয়র সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ৪৫জন চালকের মাঝে নির্ধারিত পোশাক বিতরণ করেন মেয়র। একইসঙ্গে একই রঙের চার্জাররিক্সার চলাচল কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরীর যানজট নিরসনে ও সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্মার্ট অটোরিক্সা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দুই শিফটে দুই রঙের অটোরিক্সা চলাচল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। মালিক ও চালকদের সহযোগিতায় চালকদের নির্ধারিত পোশাক ও একই রঙের চার্জার রিক্সা চলাচল কার্যক্রমও সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবো।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে তেমন বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এজন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও কম। অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে আমি প্রথম মেয়াদে মেয়র থাকাকালে অটোরিক্সা চলাচল অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে রাজশাহীতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।

রাজশাহী উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে সিটি মেয়র বলেন, তালাইমারী হতে কাটাখালি পর্যন্ত ছয়লেন রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। বিলসিমলা বন্ধগেট হতে সিটি হাট পর্যন্ত এবং ভদ্রা মোড় হতে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত অযান্ত্রিক যানবাহন লেনসহ চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া সকল ওয়ার্ডের অলি-গলির রাস্তা ও ড্রেন সহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। আসুন আমরা সকলে মিলে রাজশাহীকে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, আধুনিক উন্নত, বাসযোগ্য মহানগরী গড়ে তুলি।

অনুষ্ঠানে নগরীর যানজট নিরসনে অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রনীত নীতিমালা অনুযায়ী সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলে মালিক ও চালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন সিটি মেয়র।

রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি( ট্রাফিক) অনির্বান চাকমা। মঞ্চে উপবিস্ট ছিলেন ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম তজু, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান লিটন, রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নুর-ই-সাঈদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, জাতীয় রিক্সা ভ্যান শ্রমিক লীগ রাজশাহীর সভাপতি লিয়াকত আলী, রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সাগর।

অনুষ্ঠানে রাসিকের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর আতাউল আল কোরাইশী, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা লাইসেন্স সারোয়ার হোসেন, উপ-ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা কাজী আনোয়ারা দিল, জাতীয় রিক্সা ভ্যান শ্রমিক লীগ রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শান্ত, রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ, সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহম্মেদ মামুনসহ সহ অটোরিক্সা ও চার্জার রিক্সার চালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ জুলাই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্মার্ট অটোরিক্সা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে সকাল ও বিকাল দুই শিফটে দুই রঙের (পিত্তি ও মেরুন) অটোরিক্সা চলাচল কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। পিত্তি রঙের অটোরিক্সার চালককে মেরুণ রঙের পোশাক পড়তে হবে। আর মেরুন রঙের অটোরিক্সার চালককে সবুজ রঙের পোশাক পড়তে হবে। নগরীতে ১৬ ডিসেম্বর শুধুমাত্র সবুজ রঙের চার্জারক্সিা চলাচল করতে পারবে। কারো বর্তমানে অন্য রঙের চার্জাররিক্সা থাকলে সেটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবুজ রঙে রূপান্তর করতে হবে। আর সকল চার্জারক্সিা চালককে নীল রঙের পোশাক পড়তে হবে। নগর ভবন সংলগ্ন ‘সেলাই’ টেইলার্স থেকে পোশাক সংগ্রহ করতে পারবেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল চালকদের সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত পোশাক সংগ্রহ করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে অটোরিক্সা ও চার্জারক্সিা চালাতে হবে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply