আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশুদের স্কুলবাসের ভিতরে বন্দি রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলবাসচালকের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার ইতালির মিলানের এই ঘটনা ঘটেছে।
শেষে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে শিশুদের। তবে অনেকেই ধোঁয়া ও আগুনের তাপে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরেছে। জানা গেছে আজ স্কুল থেকে তাদের ঘুরতে যাওয়ার দিন ছিল । স্কুলের বাচ্চাগুলো খুব খুশি ছিল সকাল থেকেই,সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পরে স্কুলে চলে এসেছিল তারা ।
বাচ্চাদের বয়স প্রায় পাঁচ থেকে দশ বছর সংখ্যায় ছিলো তারা ৫১ জন । গোটা বাসটা যেন ঝলমল করছিল ছোট ছোট শিশুদের উজ্জ্বল মুখে আর কচি গলার আওয়াজে। পথে আচমকা থেমে গেল বাস।
কী হয়েছে বোঝার আগেই চালক উঠে এল আসন থেকে। বড় একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলল বাচ্চাদের। কেঁদে উঠল অনেকে। তার পরেই বাস থেকে নেমে দরজা বন্ধ করে, সেই বাসে আগুন ধরিয়ে দিল চালক! ৫১টি শিশুকে বাসে বন্দি রেখে জ্বালিয়ে দিল বাস!
ভয়াবহ এই ঘটনায় শিউরে ওঠেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের উদ্যোগে কোনও রকমে রক্ষা পায় শিশুরা। কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়লেও, প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সকলে। এক শিক্ষিকাও ছিলেন শিশুদের সঙ্গে। আটকে পড়েন তিনিও।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলবাসটির অভিযুক্ত চালক সেনেগালের বাসিন্দা। এ দিন শিশুদের নিয়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়ার সময়ে এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটায় ওই ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রা তত্পর হয়ে ছুটে গিয়ে শিশুদের উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসের কাছে গিয়ে দেখা যায়, ভিতরে শিশুদের বেঁধে রাখা হয়েছে। বেঁধে রাখা হয়েছে এক শিক্ষিকাকেও। দরজা, জানলা বন্ধ। এর পরই বাইরে থেকে জানলা ভেঙে শিশুদের উদ্ধার করেন তাঁরা। বাসভর্তি ধোঁয়ার জেরে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।
৪৭ বছর বয়সি ওই চালক ধরা পড়ার পরে চেঁচিয়ে বলতে থাকে, “কেউ বাঁচবে না।” অন্য দিকে, বাসের মধ্যে শিশুদের সঙ্গেই বন্দি থাকা এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এমনটা ঘটানোর আগে চালক বারবার বলতে থাকে, ‘ভূমধ্যসাগর এলাকায় মৃত্যু মিছিল বন্ধ হোক।’
প্রাথমিক তদন্তে এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশের অনুমান, বাসটি অপহরণ করে সোজা মিলান বিমানবন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছিল ওই চালকের। কিন্তু মাঝপথে কোনও কারণে চালক পরিকল্পনা বদলে, নৃশংস ভাবে আগুন লাগিয়ে দেয় বাসে।
মতিহার বার্তা ডট কম- ২১ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.