শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
নির্বাচন করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা প্রার্থীর

নির্বাচন করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা প্রার্থীর

নির্বাচন করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা প্রার্থীর
নির্বাচন করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা প্রার্থীর

অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচন করতে গিয়ে নিজের কর্মী মারা গেলে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার বাসাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম যুবরাজ। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর উত্তর পাথরঘাটা গ্রামের নিজ বাড়িতে কর্মীসভায় তার দেওয়া ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এখন ভাইরাল।

বাসাই ইউনিয়নের বর্তমান এই চেয়ারম্যান আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। আগামী ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে সিরাজদীখান উপজেলার ১৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর।

বাসাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম যুবরাজ ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মীদের ভুরিভোজের আয়োজন করেন। ওই দিন কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন পারপাসে একটা লোক মারা যেতে পারে। আমার কর্মী যারা, তাদের একটা লিস্ট আছে। এই কর্মীদের ভেতরে যদি কেউ নির্বাচন করতে গিয়ে মারা যায়, তাহলে আমার পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা তার পরিবারকে দেওয়া হবে। আর যদি খুনোখুনি-বাইরাবাইরি করে হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, তাহলে আমি তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করব। এমনকি তার সংসারের খরচও আমি চালাব। আমি মাইট্টা ডোরা সাপ। চুপ করে শুয়ে থাকি, আর যখন কামড় মারি, তখন মাংসসহ ছিঁড়ে ফেলি।’

চেয়ারম্যান প্রার্থীর এমন বক্তব্যকে উসকানিমূলক উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কাও করছেন অনেকে।

এমন বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবরাজ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তিন ব্যক্তি সহিংসতায় মারা যান। ওই ধরনের সহিংসতার কোনো ঘটনা আর ঘটতে দেওয়া হবে না বলে গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়। তারপরও এলাকার লোকজন জানতে চান, ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কী করব। এমন প্রশ্নের জবাবে আমি এসব কথা বলেছিলাম। তবে ওই সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। তাই নির্বাচনী আচরণবিধিও লঙ্ঘন হয়নি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’

সিরাজদীখান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনা ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের এমন বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’

সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।’ সবাইকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওসি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply