শিরোনাম :
প্রেমিকার বাড়ির সামনে বিষপানে প্রেমিকের মৃত্যু; বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘শাড়ি ক্যানসার’ কেন হয়? তার উপসর্গই বা কী? জানালেন চিকিৎসক ডায়াবেটিকেরাও ভাত খেতে পারেন, তবে মানতে হবে কিছু নিয়ম মল্লিকার সঙ্গে চুমু বিতর্ক, মুখ দেখাদেখি বন্ধ কুড়ি বছর, সাক্ষাৎ পেয়ে কী করলেন ইমরান? ক্যাটরিনার জন্যই সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব, ইদে স্বামীকে নিয়ে ভাইজানের বাড়িতে আলিয়া! রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২৬ ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন রাজশাহীতে ট্রাকে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ পুঠিয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ৩ ঈদের সাথে যুক্ত হওয়া নববর্ষের উচ্ছ্বাসে বিনোদন স্পট পরিপূর্ণ
প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি
প্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

স্টাফ রিপোর্টার : শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর ধরে এক দম্পতি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে আর পেরে উঠছেন না মা-বাবা। সহায়-সম্পদ যা কিছু ছিল তা এরই মধ্যে সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে বিক্রি করে দিয়েছেন তারা। এই দম্পতির সন্তানের অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এখন হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহায়তা ছাড়া অসুস্থ ছেলেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। বাধ্য হয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন মা ফরিদা ইয়াসমিন ও বাবা মো: আবু হানিফ।

মা-বাবা জানিয়েছেন, অসুস্থ ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকের অধীনে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা করাচ্ছেন। কখনো বাড়িতে আবার কখনো হাসপাতালে রেখে ছেলেকে সুস্থ্য করে তুলতে প্রায় ২৮টি বছর অবিরাম চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটে এখন ছেলের চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

ফরিদা ও হানিফ দম্পতির একমাত্র শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছেলেটি কথা বলতে পারেন না, হাঁটতে পারেন না, বসতে পারেন না। এমনকি দু’হাত দিয়ে খাবার খেতেও পারেনন না। পুরো শরীর অচল ও বিকলাঙ্গ। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকেন। স্বাভাবিক কোনো খাবার খেতে পারে না। অপুষ্টির কারণে তার শারীরিক বৃদ্ধি থেমে গেছে। তবে তার চাহনীর মধ্যে যেন বেঁচে থাকার আর্তি। ছেলেটি দেখতে শিশুর মতো হলেও তার বয়স এখন প্রায় ২৮ বছর।

মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জন্মের পর থেকেই ছেলেটি অসুস্থ। অসুস্থ বলে সন্তানকে তো মা-বাবা ফেলে দিতে পারে না। তাই ওকে সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা শুরু করি। গত ২৭-২৮ বছরে সব শেষ করেছি সন্তানকে সুস্থ করতে। কিন্তু লাভ হয়নি। এখন চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার মতো আর কোনো স্বামর্থ নেই আমাদের। তবে সমাজের হৃদয়বান মানুষের একটু সহযোগিতা পেলে হয়তো ছেলেটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবো। তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলেটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেলে মা-বাবা হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে অপরাধী মনে হবে। তাই বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ, আপনারা একটু আমাদের পাশে দাঁড়ান।’

ছেলেটির বাবা আবু হানিফ একজন গার্মেন্টশ্রমিক। আবু হানিফ ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার মেঘাই এলাকায়।

আবু হানিফ বলেন, শৈশব কৈশোরে যারা আমার সহপাঠী বা বন্ধু ছিল, তারা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আমি গত ২৮ বছর ধরে আমার একমাত্র শারীরিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। ছেলেটির সুস্থতার জন্য একে একে সব শেষ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, এই অসুস্থ ছেলেটির কারণে আমার মা-বাবা ও ভাই-বোন আমাকে ও আমার স্ত্রী-সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম দেয়ার কারণে আমার স্ত্রীকে দায়ী করে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। শেষ পর্যন্ত শূন্যহাতে উঠেছিলাম আমার এক ভাইয়ের বাড়িতে।

পরে সেখান থেকেও বের করে দেয়া হয়। এরপর উঠেছিলাম ভাড়া নেয়া এক বাড়িতে। ওই বাড়ির মালিকও একপর্যায় আমাদের বের করে দেন। সব আশ্রয় হারিয়ে শেষে একটি খাস জায়গায় ঘর করে থাকছি প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে।
এ অবস্থায় এই দম্পতি হৃদয়বান মানুষের সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : ফরিদা ইয়াসমিন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২০৫০-১৪৯০-২০২১-৪৬৭০৩, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিডেট, সিরাজগঞ্জ শাখা। এ ছাড়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর ০১৭২০-৪৫৭৩১৮ ও ০১৭১৮-৯৯৫৮৪৬ (রকেট)।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply